।। প্রথম কলকাতা ।।
Sudden Awakening: ঘুম প্রত্যেকটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মন ও মস্তিষ্ক সহ শরীরকে শান্ত করতে পারে ঘুম। কিন্তু প্রত্যেকের জন্য ঘুমের ধরন এক রকম হয় না। অনেকেই এমন রয়েছেন যারা মাঝরাতে ঘুম (Sleep) ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় জর্জরিত। আচমকাই কোন কারণে চোখ খুলে যাচ্ছে আর তারপর ঘরের ছাদের দিকে কিংবা জালনার দিকে তাকিয়ে রাত কাটছে। ভোরের দিকে ফের ঘুম নামছে দু-চোখের পাতায়। এই সমস্যা খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু এই সমস্যা হওয়ার নেপথ্যে আসল কারণটা কী ? এর থেকে মুক্তির পথই বা কী ?
* কেন মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় ?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেকোনো ব্যক্তি টানা ৯০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমোতে পারেন। যদি না তাকে কোনরকম ভাবে বিরক্ত করা হয়। কিন্তু ওই ৯০ মিনিটের ঘুম চক্রের মধ্যেও বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কোন সময় খুব গভীর হয় আবার ৯০ মিনিটের মধ্যে কোন সময় ঘুম হয় হালকা। কাজেই সামান্য শব্দ, হাঁচি কাশির মতো অনুভূতি অথবা টয়লেট যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হলে ঘুম ভেঙে (Awakening) যেতে পারে।
* কীভাবে ঘুম ভাঙার পর আবারও ঘুমাতে পারবেন ?
একবার মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর আর ঘুম আসতে চায় না। এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন প্রায় কমবেশি সকলেই হয়েছেন। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে তাঁরা বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন যেমন-
১. ঘড়ি দেখবেন না: মানুষের মধ্যে কিছু একই ধরনের অভ্যাস থাকে। যেমন মাঝ রাতে আমাদের ঘুম ভাঙলে আমরা তড়িঘড়ি একবার ঘড়ির (Clock) দিকে তাকাই বিশেষজ্ঞ মনোবিদরাও বলে থাকেন, ঘুম ভাঙার পরেই সোজা ঘড়ির দিকে তাকালে মনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তাই মধ্যরাতে ঘুম ভাঙার পর ঘড়ি না দেখাই ভালো। আর যদি সময়ের হিসাব রাখতে হয় তাহলে ফোন কাছে থাকলে সেটি দেখতে পারেন।
২. শোয়ার আগে মদ্যপানের অভ্যাস বদলান: অনেকেই মনে করেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে অল্প একটু সুরাপান (Drink)) তাদেরকে স্বস্তি দেয়। কিন্তু এই অভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । কারণ আমাদের দেহে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি যৌগ ঘুম আনতে সাহায্য করে আর সুরা পানের ফলে সেই যৌগের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩. রাতে অতিরিক্ত জল খাবেন না: সারাদিনে যতটা প্রয়োজন জল খেয়ে নিন। কিন্তু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিংবা সন্ধ্যার পর থেকে অতিরিক্ত জল (Water) খাবেন না। তাতে বারবার টয়লেট ব্যবহার করতে হতে পারে আপনাকে। এই কারণেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৪. মনকে শান্ত রাখুন: বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের অভ্যাস ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোন ওয়েব সিরিজ কোন সিনেমা অথবা অন্য কোনোভাবে ফোন ব্যবহার করা। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কোন দৃশ্য সিনেমা, ছবি বা ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দেখবেন না যা আপনাকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে, যা আপনাকে অতিরিক্ত ভাবাতে পারে তবে । এর বদলে কোন হালকা বাদ্যযন্ত্রের সুর শুনতে পারেন।
৫. পোষ্যের থেকে দূরত্ব রাখুন: নিজের পোষ্যকে (Pet) কাছ ছাড়া না করা অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত তাকে তার নিজের জায়গায় রাখুন। এবং আপনি নিজের বিছানায় ঘুমান। কারণ পোষ্যের গায়ে থাকা পশম কোনভাবে যদি নাকে মুখে ঢুকে যায় তাহলে হাঁচি কাশির মতো ঘটনাগুলি ঘটে, তাতেও ঘুম নষ্ট হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম