।। প্রথম কলকাতা ।।
World Toilet Day: মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি স্থান হল শৌচালয়। কিন্তু সেখানেই ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে মারাত্মক বিপদ। আপনার সামান্য ভুল ডেকে আনতে পারে মারণ রোগ। শুধুমাত্র একটু সচেতনতার অভাবে পড়তে পারেন মহাবিপদে। এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। জনসাধারণের স্বার্থে সচেতনতার উদ্দেশ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে ১৯শে নভেম্বর দিনটিকে। ‘বিশ্ব শৌচালয় দিবস’ এই কথাটা শুনলে, অনেকেই একটু মুখ বাঁকিয়ে চলে যান। শৌচালয় নিয়ে আবার কোন বিশেষ দিন হতে পারে নাকি! কিন্তু জানেন কি ভারতবর্ষের মতো দেশে প্রতিবছর শুধুমাত্র পরিষ্কার শৌচাগার না থাকার কারণে লক্ষ লক্ষ শিশু মারা যায়। বিপুল জনসংখ্যার দেশে একটি জরুরি এবং অন্যতম শর্ত হলো শৌচাগার। ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়ম করে ১৯শে নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়ে আসছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস।
এই বিশেষ দিনটির ধারণা সর্বপ্রথম মাথায় এসেছিল সিঙ্গাপুরের এক মানবপ্রেমী মানুষের মনে। তিনি ছিলেন জ্যাক সিম। ২০০১ সালে ১৯ শে নভেম্বর তিনি প্রথম ‘বিশ্ব শৌচাগার সংস্থা’র তরফ থেকে ‘বিশ্ব শৌচাগার দিবস’ ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালে এই দিনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হল শৌচাগার। খোলা জায়গায় মলত্যাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। সেখান থেকে রোগ সৃষ্টিকারক জীবাণু মাটিতে মিশে যায় এবং দীর্ঘদিন সেই মাটি থেকে জীবাণু জলের মাধ্যমে চলে যায় ভূগর্ভস্থ জলে। স্বাভাবিকভাবেই দূষিত হয় হয়ে পড়ে পুকুর, নদী, কুয়ো এবং নলকূপের জল।
শুধুমাত্র অপরিষ্কার শৌচাগারে যে রোগ গুলো লুকিয়ে থাকে , তা জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয় ,হেপাটাইটিস এ, ই প্রভৃতি রোগ। আর এই রোগের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী হয় ছোট ছোট শিশুরা। স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের শরীরে দেখা দেয় রক্তাল্পতা, অপুষ্টি থেকে শুরু করে শারীরিক এবং মানসিক নানান সমস্যা। প্রতিবছর তাই বিশ্বজুড়ে এই সব ভয়ঙ্কর রোগের হাত থেকে মৃত্যু হার কমাতে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম