।। প্রথম কলকাতা।।
Howrah: বর্তমানে বাজারে ভেজাল (Adulterated) ছাড়া খাঁটি জিনিস কতটা পাওয়া যায় তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের জায়গা রয়েছে। খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যেও ভেজাল মিশ্রিত। সেগুলি নিয়েই রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শহর কলকাতার আনাচে-কানাচে এমন বহু দোকান রাস্তার আশেপাশে দেখা যায় যেখানে মুখরোচক আলুর চিপস থেকে শুরু করে চানাচুর, ছোলা, বাদাম এবং অন্যান্য ধরনের স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেই খাবারগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা, সেগুলি আদৌ ভালো কিনা এই সম্পর্কে বিশেষ কোনো মাথাব্যথা থাকে না ক্রেতাদের।
দাম তুলনামূলকভাবে বড় দোকানের থেকে অনেকটাই কম হয়। এই কারণে বহু মানুষই সেখান থেকে এই ধরনের খাবারগুলি কিনতে অভ্যস্ত। রাস্তার পাশে থাকা এই ধরনের দোকান গুলিতে অনেক রকম মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার দেখতে পাওয়া যায়। তারপরেও কেন কোম্পানি সেই গুলি বিক্রেতাদের দিয়ে বিক্রি করাচ্ছে, এটাই প্রশ্নের জায়গা। সাধারণত কোম্পানির কোন মাল যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় তাহলে সেটিকে নষ্ট করে দেওয়া হয় কোম্পানির তরফ থেকে। এক্ষেত্রে তা না করে বাজারে বিক্রি করতে দেওয়া হচ্ছে। বছর কয়েক আগে ম্যাগি নিয়ে দারুন বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ম্যাগির মধ্যে শরীরের ক্ষতি করে এমন উপাদান সিসার উপস্থিতি থাকায় ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল ম্যাগিকে।
কিন্তু এখন বাচ্চাদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় খাবার হল ম্যাগি। অভিভাবকরাও সেই বিতর্ক ভুলে গিয়ে প্যাকেট প্যাকেট কিনে নিয়ে যাচ্ছেন । বড় বাজার থেকে হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) হয়ে হাওড়ার দিকে যেতে গেলে এইরকম বেশ কয়েকটি ছোট দোকান চোখে পড়ে বলে জানা যায়। সেই সকল দোকানগুলিতে কেক, বিস্কুট, চিপস, মুখরোচক অন্যান্য খাবার সবকিছু সারি সারি সাজানো রয়েছে। কিন্তু সমস্যার জায়গা হল সেইগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ। ক্রেতারা নিজের পছন্দমত খাবার সেখান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই জানেন না যে সেগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে বহুদিন। আগে জানলে কখনই কিনতেন না, এমনটাই বক্তব্য তাদের।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, একটি প্যাকেটজাত খাবারের (Packaged foods) যখন মেয়াদ পেরিয়ে যায় তখন সেটি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করে। কারণ ওই খাবারগুলিতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। সংক্রমিত হয় খাবারগুলি। তাতে তৈরি হয় মাইক্রোটক্সিন, আলফা টক্সিনের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ। জন্মায় ছত্রাক। আর এইগুলি শরীরে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। হতে পারে পেটের সমস্যাও। তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য খোলা বাজারে এইভাবে বিক্রি হওয়া উচিত নয়। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সংকটের মুখে পড়তে পারে। এই সমস্ত বিষয়ে নজরদারি তেমন চলছে না কেন তা অবশ্য বহু ক্রেতারই প্রশ্ন।
তথ্যসূত্র: নিউজ ১৮ বাংলা
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম