।। প্রথম কলকাতা ।।
Sadat Hossain: “প্রিয় পাঠক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেখা হচ্ছে আবারও”, মোবাইল স্ক্রল করতে করতে এই লাইনটা দেখে থমকে গেলেন বইপ্রেমী মানুষরা। অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলার (Book Fair) আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই ফেসবুকে কয়েক লাইনের পোস্ট করলেন লেখক সাদাত হোসাইন (Sadat Hossain)। যাঁর কলমের স্পর্শ দুই বাংলাকে এক আত্মিক বন্ধনে বেঁধে রেখেছে। এপার বাংলা বলুন বা ওপার বাংলা, সাদাত হোসাইনের (Sadat Hossain) লেখাতে বাঙালি বারংবার নিজেকে খুঁজে পেয়েছে। তাঁর লেখার পরতে পরতে বাঙালির মন মুহূর্তে শব্দবন্ধের সাথে একাত্ম হয়ে যায়। বর্তমান প্রজন্মের অত্যন্ত প্রিয় সেই লেখকের এই পোস্টটি দেখে ইতিমধ্যেই বইপ্রেমীদের মনে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে। যদিও অনেক আগেই জানা গিয়েছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলাতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে তিনি উপস্থিত থাকবেন। লেখক নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই পাঠকদের মনে এখন নতুন উন্মাদনা।
গত বছর যখন তিনি বইমেলায় এসেছিলেন তখন বহু পাঠকের মনে আক্ষেপ থেকে গিয়েছিল। অনেকেই ভিসার কারণে সরাসরি লেখকের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। আবার অনেকেই সময়ের অভাবে বইমেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাদের আক্ষেপ এবার মিটতে চলেছে। এতদিন যে লেখকের লেখা পড়ে মানুষ মুগ্ধ হয়েছে, কেউ কেউ মিল পেয়েছে নিজের সঙ্গে, কারোর মন হালকা হয়েছে, আবার কেউ বড় করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেছেন, এবার সেই লেখার স্রষ্টাকে দেখা যাবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায়। তাঁকে দেখার জন্য বাংলাদেশে ছুটতে হবে না। এটা কি কম বড় পাওনা নাকি? গত বছর যখন কলকাতা বইমেলায় লেখক এসেছিলেন তখন তাঁকে একবার দেখার জন্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের সামনে রীতিমত লম্বা লাইন পড়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে লেখক মুখে স্নিগ্ধ হাসি রেখে একের পর এক অটোগ্রাফ দিয়ে গেছেন। এবছর বই বেলার মাত্র কয়েকটা দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন “কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় আমি থাকবো ৮ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারি, বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে, প্রিয় পাঠক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেখা হচ্ছে আবারও”।
২০২৩ এর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের প্রায় ৭১ টি প্রকাশক। এবছর এই বই মেলা থিম দেশ স্পেন। এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর বসবে সল্টলেকের বই মেলা প্রাঙ্গনে। বইমেলায় থাকবে বাংলাদেশের জন্য আলাদা একটি প্যাভিলিয়ন। সেখানেই যোগ দেবেন ৭১টি প্রকাশক। প্রকাশকদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সাহিত্যিক সহ গুণী শিল্পীরা। আসবেন সঙ্গীত শিল্পী রেজয়ানা চৌধুরী বন্যা, অদিতি মহসিনরা সহ বেশ অনেকে। অপরদিকে সাহিত্যিকদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন সাদাত হোসাইন, সেলিনা হোসেন, আনিসুল হক সহ প্রায় ১২ থেকে ১৪ জন বিখ্যাত সাহিত্যিক। মেলা প্রাঙ্গণ সেজে উঠবে প্রায় ১৭ বছরের পুরনো থিমে। মেলা চলাকালীন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। তিলোত্তমার বুকে মুক্ত মঞ্চে তৈরি হওয়া এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মিস করবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম