।। প্রথম কলকাতা ।।
Electric Blanket: হাড় হিম করা ঠান্ডা এখন মুহূর্তে মুহূর্তে বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা উত্তর ভারতের বাসিন্দা সেই সমস্ত রাজ্যে শৈত্য প্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার চাদর যেন কিছুতেই সরছে না। এই মতো পরিস্থিতিতে নিজেকে গরম রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই যত রকম পদ্ধতিতে ঠান্ডার (Winter) হাত থেকে বাঁচা যায় সবরকম পদ্ধতি ব্যবহার করছেন মানুষ। ঘর গরম রাখার জন্য হিটার, নিজের শরীরকে গরম রাখার জন্য থার্মাল পোশাক, এমনকি হাতের তালু এবং পায়ের পাতা পর্যন্ত যাতে খালি না থাকে তাই গ্লাভস এবং মোজার ব্যবহার চলছে। তারপরেও যেন এই ঠান্ডা ত্বক ভেদ করে হাড়ে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। রাতের ঘুমকে আরামদায়ক করে তোলার জন্য শীতকালে অনেকেই বাড়িতে নিয়ে এসেছেন বৈদ্যুতিক কম্বল (Electric Blanket)।
এই বৈদ্যুতিক কম্বল এমনিতে খুবই আরামদায়ক এবং গরম। কারণ এই ব্ল্যাঙ্কেটের মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রিক্যাল হিটিং ওয়ারস রয়েছে। ওই তার গুলির মধ্যে দিয়েই বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। যা ব্ল্যাঙ্কেটটিকে গরম করে তোলে। বিছানায় এই ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করার আগে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য সুইচ অন করে দিতে হয়। তাতেই ব্ল্যাঙ্কেটটি গরম হয়ে যায় এবং সারা রাত সেই গরম হাওয়া ধরে রাখে। এর মধ্যে বেসিক সেফটি সেটিংস থাকে, যার মাধ্যমে আপনি এই ব্ল্যাঙ্কেটের তাপমাত্রা নিজের পছন্দমত বাড়াতে এবং কমাতে পারবেন। তবে মূল প্রশ্ন হল এই ইলেকট্রিক ব্ল্যাঙ্কেট আদৌ কি নিরাপদ ?
* কতটা নিরাপদ (Safe) ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট গুলি ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্ল্যাঙ্কেট গুলি সব রকম সেফটি পরীক্ষা করার পরেই বাজারে আনা হয়। কাজেই এই ব্ল্যাঙ্কেটের মাধ্যমে আগুন (Fire) লাগা কিংবা পুড়ে (Burn) যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কিন্তু যদি ব্ল্যাঙ্কেটটি ত্রুটিপূর্ণ হয় অথবা অনেক দিন ধরে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে এইরকম ব্ল্যাঙ্কেট দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট কেনার আগে অবশ্যই তার গুণমান পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। সস্তার ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেটের বদলে একটু দাম দিয়ে ভালো কোম্পানির ব্ল্যাঙ্কেট কেনাই উচিত। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেটের নিচে রাত কাটানো মানে একটা তীব্র ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের নিচে ঘুমানো। আর যাই হোক এটা আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। এটি ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর সমস্যা। তাই স্বাস্থ্যের কদর করতে হলে বৈদ্যুতিক ব্ল্যাঙ্কেটকে ‘না’ বলাই ভালো।
* কী করবেন এবং কী করবেন না ?
১. ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট কখনই জল দিয়ে ধোবেন না।
২. বৈদ্যুতিক ব্ল্যাঙ্কেটকে ড্রাই ক্লিন (Dry Clean) করারও প্রয়োজন নেই।
৩. বৈদ্যুতিক কম্বলের মধ্যে যদি টাইমার না থাকে তাহলে অবশ্যই মনে করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেটি বন্ধ করে দিতে হবে।
৪. কোনোভাবে ব্ল্যাঙ্কেটটি ভিজে গিয়েছে, এমন সময়ে প্লাগ ইন করবেন না।
৫. ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট এবং হিটিং প্যাড এই দুটো জিনিস একেবারেই একসাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।
৬. ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেটের উপর বসা, শোয়া কিংবা তার উপরে কুশন, বই, বালিশ ও অন্যান্য জিনিস রাখা উচিত নয়।
৭. কারও ব্যবহার করা পুরনো ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট নেবেন না। সেটা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। সর্বোপরি ইলেকট্রিক্যাল ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। পূর্বেই পরীক্ষা করে নিতে হবে সব দিক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম