।। প্রথম কলকাতা ।।
Mamata-Abhishek: মঙ্গলবারই মেঘালয়ে চলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য ২৩-এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে বারবার পাহাড় মুখো হচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো (Trinamool Supremo)। এবারে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। বুধবার মেঘালয়ে ভোট প্রচারে এসে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আনন্দবাজার অনলাইন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার বর্তমান সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। আর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যতে জোড়া ফুল ফোটানোর বার্তা দিয়েছেন।
তিন দিনের সফরে মেঘালয় গিয়েছেন অভিষেক-মমতা (Abhishek-Mamata)। এদিন সভা শুরুর আগে আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে মাননীয়াকে। স্থানীয় উপজাতিদের বিশেষ মুকুট পড়ে মঞ্চে হাজির হতে দেখা যায় তাঁকে এবং অভিষেককে। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে উঠে আসে স্থানীয় সংস্কৃতির কথা। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “মেঘালয় (Meghalaya) চালাবেন এখানকার ভূমিপুত্ররাই। তৃণমূল কংগ্রেস সেটা নিশ্চিত করবে”। পাশাপাশি গোয়া বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন, তার এক প্রকার পুনরাবৃত্তি এখানে করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সভায় বিরোধীদের না পারাগুলোকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।
পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, আগামী ৫০ দিন উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষমতায় আসবে নতুন দল। তাঁরা মেঘালয়ের পুরনো সম্মান ফিরিয়ে আনবে। এদিকে আজ বুধবারই মেঘালয়ের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫২টিতে প্রার্থী রয়েছে তৃণমূলের। বাকি ৮টির ঘোষণা খুব শীঘ্রই হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে রাজ্য দখলের চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল। এদিন সভায় বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কী বলেছেন মাননীয়া?
- ‘মেঘালয়কে স্যালুট করতে চাই তার গৌরবের জন্য। পরেরবার এখানে আসব আর এখানকার স্থানীয় ভাষা শিখব’।
- ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলই কেবলমাত্র বিকল্প। বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করতে চাইলে, আর কোনও বিকল্প রাজনৈতিক দল নেই’।
- ‘ছাত্রজীবন থেকে লড়াই করে এসেছি। আমার ভাই-বোনেরা কল্পনা করতে পারবেন না, আমার ওপর দিয়ে কী বয়ে গিয়েছে। তবুও আমি কোনও বাজে কিছুর কাছে মাথা নত করিনি’।
- ‘রাজনীতি আমার পেশা নয়, এটা আমার নেশা। আমার মনে হয় যে জনসাধারণের সেবা করা উচিত রাজনীতির ময়দানে থেকে। তাই এখন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে, সরকারে থেকে সাহায্য করতে পারি। কেউ মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে পারি। আমরা প্রতিবছর কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিই’।
- ‘৬০ হাজার শিশুর বিনামূল্যে হার্টের অপারেশন করিয়েছি আমরা। প্রসবের সময় অনেক মা মারা যান। তাঁদের সন্তানদের জন্য মিল্ক ব্যাঙ্ক রয়েছে’।
- ‘বাংলায় ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ৯.৫ কোটি মানুষদেরই বিনামূল্যে রেশন দিই। এমনকি এগুলি তাঁদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম