।। প্রথম কলকাতা ।।
Shehbaz Sharif: পাকিস্তানের( Pakistan) চিত্র এখন ভয়াবহ। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফিরছেন। হয়ত কদিন পরে পাকিস্তানে খাওয়ার জন্য এক টুকরো রুটিও মিলবে না। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে না তো! এমন পরিস্থিতিতে নরম সুর দেখা গেল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের( PM Shehbaz Sharif) গলায়। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর( PM Narendra Modi) সঙ্গে কাশ্মীরের( Kashmir) মতো বিতর্কিত জায়গা নিয়ে একটি সৎ আলোচনার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করে তাঁর দেশে অতিরিক্ত দুর্দশা, দারিদ্র আর বেকারত্বের সূচনা হয়েছে। তাঁর বিবৃতিতে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের গভীরতা।
পাকিস্তান আর্থিক সংকটের জন্য বিশ্বের দ্বারে উপস্থিত হয়েছে, অপরদিকে ভারত দিনের পর দিন উন্নতি করছে। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারতকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে, ভারতের সঙ্গে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে তার থেকে পাকিস্তান শিক্ষা নিয়েছে। শাহবাজ শরীফ আল আরাবিয়া টিভিকে( Al Arabia TV) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত আর পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ এবং উভয়কেই একে অপরের সঙ্গে থাকতে হবে। যুদ্ধ মানেই সময় আর সম্পদ নষ্ট। এখন পাকিস্তান সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চায় এবং তাদের সমস্যার সমাধান করতে চায়। তিনি দেশের দারিদ্র দূর করে দেশের সমৃদ্ধি আনতে চান। পাশাপাশি পাকিস্তানের জনগণকে সুশিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান দিতে চান। পাকিস্তান আর বোমা গোলাবারুদের পিছনে সম্পদ নষ্ট করতে চায় না। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানে যথেষ্ট ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। তিনি দেশের সমৃদ্ধির জন্য তদেরকে যথাযথ কাজে লাগাতে চান। তিনি চেষ্টা করবেন যাতে দ্রুত শান্তি পুনরুদ্ধার করা যায় এবং এর ফলে উভয় দেশে উন্নতি করতে পারবে।
গুরুত্বপূর্ণভাবে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলেছেন। সৌদি আরব সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি পাকিস্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। বহু শতাব্দী ধরে পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের সম্পর্ক বেশ ভালো। সংযুক্ত আরব আমিরাত লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানিদের জন্য দ্বিতীয় বাড়ির মতো।
সমালোচকরা মনে করছেন, তাহলে কি পাকিস্তান তার নিজের অর্থনৈতিক সংকটে গোটা বিশ্বের কাছে নতজানু হচ্ছে? ভারতের সম্পর্কে এত নরম সুরে কথা বলার কারণটাই বা কি? পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাছে এক বিশেষ আলোচনার টেবিলে বসতে চান যেখানে কাশ্মীরের মতো জ্বলন্ত একটি সিরিয়াস বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। কারণ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীরে যা হচ্ছে তা বন্ধ করা উচিত। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি এমন এক সময় উঠে এসেছে যখন জাতিসংঘ পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী আব্দুল রেহমান মক্কিকে( Abdul Rahman Makki) বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইনি হলেন লস্কর-ই-তৈয়বার( Lashkar-e -Taiba)প্রধান হাফিজ সঈদের শ্যালক। যিনি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার সঙ্গে যুক্ত।
‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন'( The Express Tribune) এর একটি সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক শাহজাদ চৌধুরী( Shahzad Chaudhary) সতর্ক করেছেন, প্রাক প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন কিভাবে উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। কারণ ভারত এমন একটি দেশ যা দিনের পর দিন উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের যতই টানাপোড়েন থাকুক না কেন, যখন ভারতের কথা আসে তখন কিন্তু উভয় দেশকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। ভারত তার নিজস্ব নীতি এবং শর্তে এগিয়ে চলেছে। যুদ্ধের পরেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে এবং ভারতের জনগণের সুফল পাচ্ছে। ২০৩৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ইতিমধ্যে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম