।। প্রথম কলকাতা ।।
Health Benefits of Fish: শীতকাল (Winter) মানে একের পর এক রোগের উপসর্গ। জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা লেগেই রয়েছে। অন্যান্য বছরে তুলনায় ২০২৩ এর শীতটা যেন একটু বেশি। তার উপর করোনা (Corona) এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ মুক্তি দেয়নি। একদিকে করোনা অপরদিকে কনকনে ঠান্ডা, এই দুইকে জব্দ করতে পারে মাছ। এমন কিছু বিশেষ মাছ (Fish) রয়েছে যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে আপনি বহু রোগকে সহজে হারিয়ে দিতে পারবেন। আর যদি উল্টোটা করেন অর্থাৎ মাছ থেকে একটু দূরে থাকেন তাহলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) কমলে একের পর এক রোগ আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে।
- শীতকাল মানেই একটু অলস আবহাওয়া। নিজেকে চাঙ্গা রাখতে খাবারের তালিকায় রাখুন সপ্তাহে গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম মাছ। এই নিয়ম মেনে চলতে পারলেই প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও যাদের অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই সপ্তাহে অন্তত দু’দিন মাছ খাওয়া উচিত।
- সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি , এ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকরণগুলি অ্যান্টিডিপ্রেশনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শীতে মন এবং শরীরকে তরতাজা রাখতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় এক টুকরো সামুদ্রিক মাছ অবশ্যই রাখার চেষ্টা করুন।
- গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে মাত্র একদিন অন্তত মাছ খান তাদের হার্ট অন্যান্যদের তুলনায় বেশি সুস্থ থাকে। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের যে ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন , তা কমিয়ে রাখতে সাহায্য রাখে মাছ।
- ব্রেন স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রতিদিন মাছ খেলে ডায়াবেটিস ও আর্থারাইটিসের মত রোগ শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারবে না।
- মাঝে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও মাছে থাকা প্রোটিন অন্যান্য খাবারের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। মনে করা হয় মুরগির মাংসে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে, তার থেকেও বেশি প্রোটিন রয়েছে পুকুরের নানান মাছে। সেই তালিকায় রয়েছে শিং ,মাগুর, শোল,কই প্রভৃতি মাছ।
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে রোজ পাতে রাখতে পারেন পমফ্রেট, বোয়াল, রুই,কাতলা, ভেটকি প্রভৃতি মাছ। এই মাছগুলি মস্তিষ্কের নিউরন কোষকে সুগঠিত করে এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম