।। প্রথম কলকাতা ।।
Foods For Memory: মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । কিছু কিছু দুর্বলতাও নজরে আসে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল স্মৃতিশক্তি কমতে থাকা। ছোটখাটো বিষয় মনে রাখতে না পারা। এই স্মৃতিভ্রম বার্ধক্যের অন্যতম একটি লক্ষণ। তবে এখনকার দিনে আর কোন রোগ বয়সের জন্য অপেক্ষা করে না। কম বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। তাদের ঘিরে ধরে হাই ব্লাড প্রেসার। তেমনই ৩০ বছর পেরোলেই এখন স্মৃতিশক্তি (Memory) ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে অনেকের।
তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিংবা ছোটখাটো যে কোন বিষয় তাঁরা ভুলে যেতে শুরু করেন। বিষয়টি প্রথম দিকে একেবারেই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন লক্ষ্য করলে বোঝা যায় কাজের চাপ বা অন্য কোন কারণ নয়, তা্রা সত্যিই বিভিন্ন জিনিস স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারছেন না। যেটা এত অল্প বয়সে হওয়া একেবারেই উচিত নয়। যারা এই ধরনের শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তাদেরকে এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সব সময় ওষুধ দিয়ে যে সব রোগের সমাধান হয় এমনটা কিন্তু নয়। ঘরোয়া কিছু উপাদানের ওপরেও ভরসা রাখতে বলেন পুষ্টিবিদরাই। যেমন:
১. হলুদ (Turmeric): প্রত্যেকের বাড়িতেই হলুদ থাকে। রান্নাঘরে এই মশলাটি সবথেকে কমন একটি মশলা। কিন্তু এই মশলার যে গুণাগুণ রয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। হলুদের মধ্যে কারকিউমিনের (Curcumin) উপস্থিতি থাকে। যা যেকোন মানুষের স্মৃতিশক্তিকে বৃদ্ধি করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। কেউ যদি ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগতে থাকেন তাহলেও হলুদ সেটা রুখতে কাজে লাগে। আর শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধের জন্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে হলুদ।
২. কফি (Coffee): অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুম উড়ে যায় এই কথাটি একেবারে সত্যি। কফির মধ্যে যে ক্যাফেইন থাকে তা কিন্তু আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। যেমন বর্তমানে একটি গবেষণা বলছে, কফি আমাদের মন এবং মেজাজকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভীষণভাবে সাহায্য করে কফিতে থাকা ক্যাফেইন (Caffeine)। তবে কোন জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয়। উদাহরণ হিসেবে এই কফির নামই উল্লেখ করা যায়।
৩. কুমড়োর বীজ (Pumpkin Seeds): সবজি হিসেবে কুমড়ো শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। কিন্তু কুমড়োর মধ্যে যে বীজগুলি রয়েছে তাতেও ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের মস্তিষ্ককে যেকোনো ধরনের ক্ষতিকারক কোষের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও কুমড়োর বীজের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার, দস্তার মত একাধিক পুষ্টি উপাদান। তাই রান্না করে কিংবা ভেজে যেইভাবেই কুমড়োর বীজ খাওয়া হোক না কেন তা শরীরের পক্ষে উপকারী।
৪. ফুলকপি (Cauliflower): শীতকালে বাজারে ফুলকপি খুব সহজেই পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু ফুলকপির মধ্যে থাকে ভিটামিন কে ( Vitamin K)। আর এই ভিটামিনটি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহযোগিতা করতে পারে। এই কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপি , ব্রকলির মত সবজি গুলি খাওয়া উচিত। কিন্তু যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাঁরা বাঁধাকপি এড়িয়ে চলুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম