।। প্রথম কলকাতা ।।
Joshimath Landslide: ধসে পড়ছে ভারতের বিশাল একটা শহর। নিজেদের সাজানো গোছানো ঘর হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ। যে কোন মুহূর্তে বড় বিপদের সম্ভাবনা। আতঙ্কিত এলাকাবাসীকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই চিত্র ভারতের যোশী মঠে (Joshimath)। ভূবিজ্ঞানীরা এখানে আসন্ন বিপদ অনেক আগেই টের পেয়েছিলেন। তাদের সতর্ক বার্তাকে তখন সেভাবে আমল দেওয়া হয়নি। এখন সেই অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের মুখে পড়েছেন এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০টি পরিবারকে ওখান থেকে সরানো হয়েছে এবং ৯০টি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে সরানোর কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞরা (Experts) মনে করছেন, শুধু যোশী মঠ নয়, একই বিপদে রয়েছে উত্তরকাশী (Uttarkashi) আর নৈনিতাল (Nainital) ।
যোশী মঠের বিষয়টিকে নিয়ে নয়া দিল্লি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জওয়ানদের সঙ্গে কাজ করছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। বিষয়টি নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। উদ্ধার কাজ স্বাভাবিক ভাবে করা যাচ্ছে না। একদিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, অপরদিকে শৈত্য প্রবাহ। যা বিপর্যয় পরিস্থিতিকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু এলাকাবাসী নয়, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথও এই বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।
এই বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে বদ্রিনাথ ধামের প্রবেশদ্বার যোশী মঠে এখন রীতিমত হইচই কাণ্ড। এই এলাকা ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে মাটির নিচে। বাড়ি, দোকান এবং হোটেলের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পিটকুলের (PTCUL) একটি দল যোশী মঠের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বিপ্পজনক রূপ নিচ্ছে। একই আশঙ্কায় রয়েছে উত্তরকাশী (Uttarkashi) আর নৈনিতাল (Nainital)। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত নজর রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ঠান্ডার মধ্যেও মানুষকে ঘরের বাইরে থাকতে হচ্ছে।
এই নগরীর বহু বাড়িঘর এবং ৬ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখার পর ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ঘরের বাইরে। এই পরিস্থিতিতে এখানে নির্মাণ কাজে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পার্বত্য রাজ্যে নির্ধারিত মানের বাইরে যা কিছু নির্মাণকার চলছে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। যোশী মঠ শহরের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি দেখে প্রশাসনের তরফ থেকে তিনটি আলাদা জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অঞ্চলগুলি হবে অনিরাপদ, নিরাপদ এবং বাফার জোন। এই জোনের ভিত্তিতে চিহ্নিতকরণের কাজ করা হবে। যাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের অনেকের বাড়ি প্রায় কয়েক দশকের পুরনো। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মনে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের এই যোশী মঠ শহরটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিধস অঞ্চল (landslide-subsidence zone) হিসেবে তকমা দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম