।। প্রথম কলকাতা ।।
Drone Use in Farming: কৃষি ক্ষেত্রে নয়া নজির সুন্দরবনে (Sundarban)। সাধারণত চাষের কাজে জমির পরিমাণ অধিক হলে চাষীদের সময়, শ্রম এবং অর্থের প্রয়োজন বেশি পড়ে। এবার সুন্দরবনে চাষীদের (Farmer) সময়, শ্রম বাঁচাতে চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন (Drone)। বহুদিন আগে প্রশাসনিক কাজে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের (India Government) তরফ থেকেও বারংবার কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার নিয়ে নানান প্রকল্প সামনে এসেছে। সময় এবং অতিরিক্ত অর্থের কারণে বহু চাষী কৃষি ক্ষেত্রে সেভাবে মুনাফা পান না। উপরন্তু দিনের পর দিন কাঁধে চাপতে থাকে লোকসানের বোঝা। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে চাষ করলেও যা ফসল ওঠে, তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না। চাষীদের সময় শ্রম আর অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই এবার সুন্দরবনে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কৃষি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের সামনে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে অতি সহজে বড় বড় জমিতে রাসায়নিক সার এবং জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চাষীদের অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। আবার পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না।
জয়নগরের ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই অঞ্চলের চাষীরাও এই প্রযুক্তিতে বেশ খুশি এবং তারা বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী। সাধারণত যারা এক একর বা তার বেশি জমি চাষ করেন, সেই জমিতে যদি কীটনাশক স্প্রে করতে চান তাহলে সারাদিন লেগে যেতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে ড্রোন পুরো জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারে। দশ লিটার রাসায়নিক সার অথবা কীটনাশক চাষের জমিতে ব্যবহার করতে সময় লাগছে মাত্র ৮ মিনিটে।
ড্রোনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক কৃষি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক, পাথরপ্রতিমা, কুলতলী মথুরাপুর এবং মন্দির বাজার সহ সুন্দরবনের বহু এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে চাষের কাজ আরো সহজ হয়ে উঠেছে। আগে জমিতে কীটনাশক বা সার প্রয়োগ করতে প্রায় ছয় থেকে আট ঘন্টা লাগত। সেই কাজ ড্রোনের মাধ্যমে হচ্ছে মাত্র কয়েক মিনিটে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম