।। প্রথম কলকাতা ।।
Earthquake: ইমারজেন্সি অ্যালার্ট! পৃথিবী ঠেলে উঠছে ফুটন্ত লাভার স্রোত। এবার কী পুরো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আইসল্যান্ড? দু দিনে ৭০০ বার, ব্যাক টু ব্যাক ভূমিকম্প। গ্রামের পর গ্রাম খালি হয়ে যাচ্ছে? প্রাণ বাঁচাতে অসহায় মানুষগুলো ছোটাছুটি করছে? এভাবেই কি পৃথিবীর অতলে হারিয়ে যাবে আইসল্যান্ড কোন ভয়ংকর ইঙ্গিত দিচ্ছে আগুন আর বরফের দেশ? বরফে ঢাকা মাটির বুক চিড়ে গনগনে আগুনের স্রোত বইছে। জ্বালামুখ থেকে ক্ষণে ক্ষণেই হচ্ছে তীব্র গর্জন। আইসল্যান্ড ম্যাপ থেকে পুরো গায়েব হয়ে যাবে? জোরালো ভূমিকম্প, টানা কাঁপছে আইসল্যান্ড টেনশন বাড়ছে।
আইসল্যান্ডে দু্’দিনের মধ্যে ৭০০ বার ভূমিকম্প হয়েছে। কারণ, প্রায় ৬ হাজার বছর সুপ্ত অবস্থায় থাকার পর আবারও জেগে উঠেছে দেশটির একটা আগ্নেয়গিরি। যার মধ্যে বেশ কয়েক বার অনুভূত হয়েছে জোরালো কম্পন। জ্বালামুখ থেকে ক্রমাগত গড়িয়ে পড়ছে ফুটন্ত লাভা। গরম ছাই-এ ঘন কালো হয়ে উঠেছে আকাশ। এরপরেও আইসল্যান্ডের আর কিছু অবশিষ্ট আছে? মানুষগুলো ভয়ে সিঁটিয়ে আছে। বার বার ভূমিকম্প হওয়ায় আইসল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার। ভূবিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমের রেকিয়ান্স উপদ্বীপের ‘ফাগরাদাসফিয়াক’ আগ্নেয়গিরিটা থেকে গত মাস ধরে একনাগাড়ে অগ্ন্যুৎপাত চলছে। লাভার স্রোত ঢেকে দিয়েছে গ্রিন্ডাভিক শহরের একাংশ। শহর-গ্রামকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে গলিত গরম লাভা। প্রকৃতির রোষে তবে কি বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুছে যাবে গোটা একটা দেশ?
উত্তর ইউরোপের ছবির মতো সাজানো দেশ আইসল্যান্ড। গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকেই ঘন ঘন ভূমিকম্পে কাঁপতে শুরু করেছে দেশটা। চলতি বছরের জুলাই মাসে উত্তর ইউরোপের এই দেশটিতে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়। টানা ভূমিকম্পে কাঁপছে বাড়িঘর। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছোটাছুটি করছে মানুষ। এখন যা পরিস্থিতি তাতে গ্রিন্ডাভিক-সহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে আইসল্যান্ড প্রশাসন। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকা থেকে নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজও শুরু করেছে সরকার। আইসল্যান্ড সরকারের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে ভাবে পরপর ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে নাগরিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। প্রবল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাটি ফুঁড়ে জন্ম নিতে পারে নতুন আগ্নেয়গিরি। আবহাওয়া বিভাগ আগেই জানিয়েছিল, যে ভাবে পরপর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে, তাতে বড় মাপের ক্ষতি হতে পারে। তাই, জরুরি অবস্থা জারি করে গোটা দেশের মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তাঁদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
কিন্তু আইসল্যান্ডে এতবার ভূমিকম্পের কারণটাই বা কী? ভূ-বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আইসল্যান্ড ইউরেশিয়ান ও উত্তর আমেরিকার টেকটনিক প্লেটের মাঝে অবস্থিত। প্লেট দু’টির অভিমুখ বিপরীত দিকে, সেই কারণেই মাঝেমধ্যে কম্পন অনুভূত হয়। বারবার ভূমিকম্পের কারণেই ঘুমিয়ে থাকা ‘ফাগরাদাসফিয়াক’ আবার জেগে উঠেছে আইসল্যান্ড অন্যতম অগ্ন্যুৎপাতপ্রবণ অঞ্চল। এত কাল প্রতি চার-পাঁচ বছর অন্তর সেখানে অগ্ন্যুৎপাত হতো। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে অগ্ন্যুৎপাতের প্রবণতা বেড়ে গেছে দেশটিতে। এখন প্রতি বছরই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটছে! ২০২১ সালেই মাত্র ২৮ দিনের ব্যবধানে ৪০ হাজার ভূমিকম্প হয়েছিল আইসল্যান্ডে। তার পরেই শুরু হয় লাভা উদ্গীরণ।
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, কোনও একটা ফাটল পেলেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে ম্যাগমা। যা এগোতে থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিম দিকে। তাহলে কি আরো বড় কোন বিপদ ঘটতে চলেছে আইসল্যান্ডে? প্রকৃতির রোষানলে পড়ে যদি এভাবেই বারংবার তছনছ হতে থাকে আইসল্যান্ড তাহলে দেশটার সর্বনাশ রোখে কার সাধ্য?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম