।। প্রথম কলকাতা।।
Trained Guides:p ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙামাটির দেশে যা…’,জনপ্রিয় গানের এই কথাগুলি মনে পড়লেই সোজা মন টানে ‘লাল পাহাড়ির দেশ’ পুরুলিয়ার কথা। রাঙামাটির দেশে যাওয়ার কথা কখনও একবারও ভেবেছেন৷ যদি না ভাবেন, তাহলে ভাবতে-ভাবতেই ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন৷ আর সেখানে গেলে ঘুরতে অসুবিধা হবে না আপনাদের। কারণ সেখানে রয়েছে পুরুলিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডরা। যা আপনাদের ভ্রমন করতে আর স্বাছন্দবোধ করবে ..এই কথাগুলো কেন বললাম একটুও কি ভেবে দেখেছেন ? হঠাৎ করেই পুরুলিয়া তারপর সেখানকার গাইড। যেন ঘেটে ঘ হয়ে যাচ্ছে তাই না , চলুন একটু খোলসা করেই বলা যাক। কারণ রাজ্য উৎকর্ষ বাংলা থেকে পুরুলিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্যুরিস্ট গাইডদের পর্যটন বিভাগের আওতায় আনল। রাজ্যের পর্যটন বিভাগ ‘এক্সপেরিয়েন্স বেঙ্গলের’ ট্যাগ দিয়ে পুরুলিয়ার ৬৯ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডকে জ্যাকেট, টুপি ও ব্যাজ দিল। মূলত, জেলা প্রশাসন এই ব্যবস্থাপনা করেছে যাতে গাইডরা পর্যটক পেয়ে আয়ের মুখ দেখতে পারেন।
গাইডদের যাতে আয় সুনিশ্চিত হয়, সেকারনেই পুরুলিয়া জেলা হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন নিশ্চয়তা দেবে যাতে বছরভর তাঁরা পর্যটক পান। জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসন purulia.gov.in-এ তাদের ওয়েবসাইটে নাম ও মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে জেলার কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের হোটেলের সঙ্গেও আলাদাভাবে তাঁদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জেলাশাসক রজত নন্দার উপস্থিতিতে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনিক ভবনে ‘ট্যুরিস্ট গাইড কিট’ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গতবছরই উৎকর্ষ বাংলা থেকে বাঘমুন্ডি ব্লকে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের ‘নিউ ট্যুরিস্ট গাইড ট্রেনিং’ নামে একটি কোর্স করানো হয় । মোট ৫৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে ২৯ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ২৫ জনকে। এছাড়াও পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুরুলিয়া শহরে একাধিক ব্লক থেকে আরও ১৫ জন তরুণ-তরুণী এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। জানা গেছ, প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদেরকে দেওয়া হয় শংসাপত্রও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম