।। প্রথম কলকাতা।।
Agni V Missile : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের একাধিক জেলায় আকাশে উজ্জ্বল গতিশীল আলো দেখতে পাওয়া যায়। যা নজরে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। সকলের মনে কৌতূহলের সাথে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল যে এই আলো আসলে কিসের ? অবশেষে উত্তর মিলল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয় অগ্নি ৫ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Agni V Missile) পরীক্ষায় এদিন সফল হয়েছে ভারত ( India) । আর আকাশের সেই আলো এই ক্ষেপণাস্ত্রেরই ছিল।
এদিন বিকাল পাঁচটা নাগাদ ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিসাইল প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা টার্গেটকে নিমেষের মধ্যে ধ্বংস করে ফেলতে পারবে। ১৩৬০ কেজি ওজনের, দৈর্ঘ্যে এটি ১৭.৫ মিটার এবং ব্যাসার্ধ হল ২ মিটার । অগ্নি ৫ মিসাইল প্রায় ১৫০০ কেজি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করে নিয়ে যেতে পারবে। আর এই মিসাইলের মধ্যে বুস্টার ইঞ্জিন তিনটি ধাপে স্থাপন করা হয়েছে । এটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে যদিও বর্তমানে এই মিসাইল নিয়ে বিস্তারিতভাবে তেমন কোন তথ্য দেওয়া হয়নি । তবে জানানো হয়েছে মিসাইলের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। সম্প্রতি তাওয়াং সীমান্তে ভারত ও চিনের সৈন্যরা মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারপর সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । আর এর মাঝেই ভারতের অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা এবং তা সম্পূর্ণ সফল হওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নতির জন্য অগ্নি ৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল ভারত । আজ সেই উৎক্ষেপণ সফল হয় । জানা যায় ৫০০০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতে তৈরি করা মাঝারি ও দূরপাল্লার পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গুলির মধ্যে অন্যতম। যেহেতু আজকের এই মিসাইল উৎক্ষেপণের বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত ছিল তাই বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। কাজেই আজ সন্ধ্যার দিকে সেই অংশের ওপরে বন্ধ ছিল বিমান চলাচল।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বপ্রথম ২০১২ সালের পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর ২০১৩,২০১৫,২০১৬,২০১৮ এবং ২০২১ সালের এটি পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আকাশে ওই আশ্চর্য রকম আলো দেখতে পেয়ে অধিকাংশ মানুষই কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ সেটাকে ইউএফও বলেও মনে করেছিলেন ।তবে অবশেষে সত্য সামনে আসল। এই আলো আসলে ভারতের বিজ্ঞান গবেষণার সাফল্যের আলো।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম