।। প্রথম কলকাতা ।।
Gandhi Peace Walk: বেলেঘাটা থেকে ৪০ জন পড়ুয়া পৌঁছাচ্ছে নোয়াখালী। যার লক্ষ্যে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর শান্তি পদযাত্রা। দেশভাগের ঠিক এক বছর আগেই নোয়াখালীতে হিন্দু-মুসলিমের দাঙ্গায় রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছিল মাটি। ঠিক সেই সময় প্রায় তিন মাস ধরে তিনি পুরো অঞ্চল ঘুরে বেড়ান, তাও পায়ে হেঁটে। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। বিভিন্ন জনসভায় গিয়ে ভাষণ দেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য ছিল, সেদিনের সেই হানাহানি বন্ধ করা।
আজও মানুষ ভুলতে পারেনি দ্যা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের কথা। ১৯৪৬ সালে সেই রক্তাক্ত কুখ্যাত হত্যাযজ্ঞে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় চার হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ। প্রায় এক লক্ষের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। নোয়াখালীতে শান্তি মিশনে মহাত্মা গান্ধীর পায়ে হেঁটে ছিলেন প্রায় ১১৬ মাইল, বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে প্রায় ৪৭ টি দাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। নোয়াখালীতে দাঙ্গার মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিতে থাকেন। ঠিক সেই সময় গান্ধীজি ঠিক করেন নোয়াখালীতে যাবেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সেই সময় দাঁড়িয়ে নোয়াখালীর জটিলতা ঠিক কতটা। এমনকি তিনি নোয়াখালীতে বেশ কয়েক বছর থাকারও পরিকল্পনা করেন। ৬ নভেম্বর নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। তারপর ৯ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন শান্তির লক্ষ্যে পদযাত্রা। সেই সময় তিনি শান্তি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনা সমাজ পরিচালনা করতেন।
বেলেঘাটা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪০জন পড়ুয়া যাচ্ছেন নোয়াখালী। গান্ধীজি এবং তাঁর শান্তির বার্তা উপলক্ষে ৯ই মার্চ দুপুর বারোটার দিকে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল একটি অনুষ্ঠানের। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিজন সেবক সংঘের প্রেসিডেন্ট ড. শঙ্কর কুমার সান্যাল। সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু স্টুডেন্ট একটি কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করে। গান্ধীজি এবং শান্তি নিয়ে প্যানেল ডিসকাশনের সিনিয়র মডারেটর হিসেবে ছিলেন প্রফেসর মল্লিকা রায় চৌধুরী, প্রফেসার অচিন্ত্য বিশ্বাস এবং শ্রী স্বপন মুখোপাধ্যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম