।। প্রথম কলকাতা ।।
China: পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে দানবীয় গর্ত খুঁড়ছে চীন। ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তরে পৌঁছানোর গ্র্যান্ড প্ল্যানিং করে ফেলেছে সি চিনপিং সরকার। কীসের লোভে এত বড় পরিকল্পনা চীনের? এই গভীর অভিযানের আড়ালে কোন রহস্য লুকিয়ে রেখেছে চীন? এত চেষ্টা করেও রাশিয়াকে কি পেছনে ফেলতে পারবে চীন? পৃথিবীর গভীরে ছাপ ফেলতে কামাল করছে চীন। শি এর দেশ পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে ৩২ হাজার ৮০৮ ফুটের গর্ত খুঁড়তে শুরু করেছে। মানে ১০ হাজার মিটার চাট্টিখানি কথা নয়, কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভূত্বকের একেবারে শেষ স্তর, সেখানে প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ বছরের পুরনো পাথর রয়েছে। ভূগর্ভে সঞ্চিত ধাতু এবং শক্তির উৎস সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচোনে চীন যে কতটা উৎসুক বা আগ্রহী তারও নমুনা এই প্রজেক্ট। এমনকি নানা খনিজ পদার্থের সম্ভারও চিহ্নিত করা যাবে এর মাধ্যমে। শুধু তাই নয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কেও আগেভাগে অনেক কিছু টের পাওয়া যাবে, নিশ্চিত হওয়া যাবে এই প্রজেক্টের মাধ্যমে। ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা জানার প্রযুক্তিতেও আরো উন্নত হওয়ার চান্স থাকছে চীনের। তাছাড়া এই এলাকার খনিজ তেলে সমৃদ্ধ। অতএব চীনের কাছে এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ইতিমধ্যেই এই তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।
তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। চীনের উত্তর-পশ্চিমের বিশাল অংশ জুড়ে শিনজিয়াং প্রদেশেই গভীর গর্ত খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে বেজিং। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং একে পৃথিবীর গভীরে অন্বেষণ অভিযান বলে অভিহিত করেছেন। বুঝতে বাকি নেই এই গভীর অভিযানের আড়ালে বিরাট বড় পরিকল্পনা লুকিয়ে রেখেছে চীন। অবাক হবেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতাকেও হার মানাবে চীনের এই গর্তের গভীরতা। চিনের গর্ত খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হলে তা হবে এভারেস্টের উচ্চতার চেয়েও গভীর। এতটাই গভীর যা অন্তত ১০টা মহাদেশীয় স্তর ভেদ করবে।
চীনের খোঁড়া এই ৩২ হাজার ফুটের গর্তকে অবশ্য ‘পৃথিবীর গভীরতম’ বলা ঠিক হবে না। কারণ, সেই তকমা অলরেডি ছিনিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ‘কোলা সুপারডিপ বোরহোল’র গভীরতা ১২ হাজার ২৬২ মিটার মানে ৪০ হাজার ২৩০ ফুট। ১৯৮৯ সালে এই গর্ত খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। রাশিয়ার এই গভীর গর্তটা খুঁড়তে সময় লেগেছিল ২০ বছর। প্রযুক্তির উন্নতিতে গর্ত খোঁড়ার কাজ এখন আগের চেয়ে সহজ। তাই ৩২ হাজার ফুটের গর্ত খুঁড়তে হয়তো ২০ বছর সময় নেবে না চীন। সেই কাজ আগেই শেষ করবে শি চিনপিং এর সরকার। এখন, পৃথিবীর গভীরে এই ছাপ ফেলার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে চীন তা সম্পূর্ণ হলে কী কী হতে পারে, সে দিকে নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম