।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে কেন হঠাৎ? মোদীর সিক্রেট চেম্বারে ৩ লক্ষ কোটির অস্ত্রের ডিল। চীন একেবারে চুপ, কোন অশনি সংকেত সামনে? ২০২৪ এ নতুন কোনও যুদ্ধ শুরু? দুম করে একদিন হামলা বা অরুনাচল নিয়ে কোনও বড় স্টেপ! চীনের মতিগতি ইদানিং বোঝা যাচ্ছে না। ভারতের নতুন করে ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র কেনা যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি না তো? কোন সিক্রেট খবর ফাঁস হতে দিচ্ছে না রাজনাথ সিংয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। রাশিয়া, ফ্রান্স আমেরিকার ওপর পুরোপুরি ভরসা করা আগে ছেড়ে দিয়েছে ভারত। তাই এখন দিল্লি অস্ত্রের ট্রেলার দেখায় আর বাকীরা দেখে। অতিরিক্ত ৯৭টি তেজস যুদ্ধবিমান ১৫৬টি হামলাকারী প্রচন্ড হেলিকপ্টার কিনছে ভারত ছাড়পত্র দিল ডিফেন্স অ্যাক্যুইজিশন কাউন্সিল। এখানেই শেষ নয় লিস্ট আরও বড় কিন্তু বছরের শেষে হঠায় কোনও কারণ ছাড়া তো আর এত বড় ডিল ফাইনাল হতে পারে না প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
তার মাঝেই বড় খবর দ্য ওয়ারের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হচ্ছে ভারত ও চীনের মধ্যে হয়ে গেছে ২৮ তম কূটনৈতিক আলোচনা। আর তার ফলাফলই ভয়ঙ্কর কিছু? পূর্ব লাদাখ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ার কোনও আভাস? সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একগুচ্ছ অস্ত্রের অনুমোদন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ‘প্রচণ্ড’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তেজস যুদ্ধবিমান কেনা হচ্ছে। দুটি এয়ারক্র্যাফ্টই তৈরি করে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL)। দেশিয়ভাবে তৈরি সুখোই-২০ এমকেআই বিমানগুলি হবে আপগ্রেড। এছাড়া, দুই ধরনের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করতে পারে। ভারতীয় ফিল্ড গানগুলি প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি অত্যাধুনিক টোয়েড গান সিস্টেম সংগ্রহের প্রস্তাবও মঞ্জুর করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান অস্ত্র হবে এই কামান।
এর পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ১৫৫ মিমি আর্টিলারি বন্দুকে ব্যবহারের জন্য উন্নত মানের গুলি কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলির জন্য স্বয়ংক্রিয় নিশানা ট্র্যাকার এবং ডিজিটাল ব্যাসাল্টিক কম্পিউটার সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে পরিষদ। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য থাকছে মাঝারি পাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল। ৯৮ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামই হবে দেশীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্প্রতি দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে আলোচনায় পূর্ব লাদাখ সমস্যা হোক বা সীমান্ত সমস্যা বড় অগ্রগতির কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত ছাড়াই শেষ হয়েছে। এর মানে সোজা কথায় নো সলিউশন। সেখানে এর পরবর্তীতে কী পরিস্থিতি আসতে চলেছে কেউ জানে না হয়ত সেজন্যই বড় প্রিকশন নিচ্ছে নয়া দিল্লি।
বলা হচ্ছে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে এত বড় বরাত এর আগে পায়নি দেশীয় সংস্থাগুলি। সবে অনুমোদন মিলেছে যদিও উত্পাদনকারীদের সঙ্গে Acceptance of Necessity চুক্তি এছাড়াও দাম নিয়ে দরাদরি বাকি রয়েছে এখনও। তাতে বেশ কিছুটা সময়ও লাগবে যদিও কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে বিদেশ থেকে কিনতে গেলে আরও সময় লাগত, এত সময় ভারতের হাতে নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম