।। প্রথম কলকাতা ।।
নরেন্দ্র মোদী ৫ বছর আগে ভবিষ্যতবাণী করে দিয়েছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব। অনাস্থা প্রস্তাব আসলে কী? এটা কী কোনও সরকার ফেলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে? বাদল অধিবেশনের শুরুতেই ঘটে গেলে এমন কান্ড যেটা আন্দাজ করেই ছিল বিজেপি সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটা অনাস্থা প্রস্তাবে কত বড় ক্ষতি হতে পারে বিজেপি সরকারের? তথ্য বলছে নমো কার্যত গুরুত্বই দিচ্ছেন না এই অনাস্থাকে। তাহলে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ঘটা করে এই প্রস্তাব এনে লাভ কী হল? অনাস্থা প্রস্তাব, কাকে বলে জানা আছে?
অনাস্থা কথার আক্ষরিক অর্থ যার প্রতি আস্থা নেই। বিরোধীরা এক্ষেত্রে বোঝাতে চায় সরকারের প্রতি তাদের আস্থা নেই অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে সরকারের সংখগরিষ্টা চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীপক্ষ। এটি একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া বিরোধীরা এই প্রস্তাবের ডাক দিয়ে যাচাই করে নিতে চায় যে বর্তমান সরকার মসনদে থাকার যোগ্য কি না। এই অনাস্থা প্রস্তাবের মোশন সংসদের অন্তত ৫০ জন সদস্যকে সমর্থন করতে হবে তাহলেই তা কার্যকরি হয়। মণিপুর ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা মনোভাবের ডাক দিয়েই ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তাদের দাবি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও ৫০ জন সাংসদ এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছে।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের পেশ করা এই অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই তিনি জানিয়ে দেবেন কবে কখন এই মর্মে ভোটাভুটি হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি এই অনাস্থায় কোনও ক্ষতি হবে না বা কোনও প্রভাব পড়বে না মোদী সরকারের ওপর বরং অনাস্থাকে একপ্রকার তাচ্ছিল্য করে নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিলেন চব্বিশের লোকসভায় জেতা নিয়ে বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা নেই তাঁর। তথ্য বলছে ২০১৮ সালে লোকসভায় দাঁড়িয়ে নমো বলেছিলেন, ২০২৩ সালে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিন। আর ২০২৩ সালে বাস্তবেই ঘটল তেমনটাই। একেই বোধহয় বলে রাজনৈতিক দুরদর্শিতা৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম