কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায়না :দিলীপ ঘোষ

।। শর্মিলা মিত্র ।।
গতকাল মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে পদযাত্রায় সামিল হয় বিজেপি-তৃণমূল উভয় দলই। এরপর বিজেপির কর্মসূচী নিয়ে শাসক দলের তোপের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তার জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আজ সকালে ইকো পার্কে প্রাত:ভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালের সভা থেকে বলেছেন বিরোধীদের ১০/০ গোল দিয়ে দিয়েছেন। এর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সে তো বুঝতে পেরেছি। কে কার গোল দেবে।
জানাই আছে। অভিজ্ঞতা কম। অনেকবার অনেক কিছু বলেন উনি দেখা গেছে সব উল্টো হয়।’ পাশাপাশি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আর একটু শিখতে হবে রাজনীতি। কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায়না। মাটিতে নামতে হয়’। পাশাপাশি গতকালের প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানান যে, সৌগত রায় বলেছেন, মনীষীদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। সিমলা স্ট্রীটের স্বামীজির বাড়ি বিজেপি দখল করে নিয়েছিল গতকাল। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের উত্তর, ‘ওনারাতো পুরো পশ্চিমবাংলা দখল করে বসে আছেন।’ তার মন্তব্য, ‘ওনার বয়স হয়েছেয়ে ভুলেই যান। রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে ব্যবহার করছেন। তার বিশ্বভারতী ভেঙে দিচ্ছেন আবার বুকে ছবি নিয়ে হাঁটছেন।
দুটো জিনিস হতে পারেনা।’ তার মন্তব্য, ‘আপনারা পশ্চিমবাংলাকে মনীষীদের ছবি টাঙিয়ে দোকান চালিয়েছেন এতদিন। ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের সমস্ত মনীষীদের সম্মান শ্রদ্ধা করে। তাদের আদর্শে যুবকরা চলুক সেই ধরনের অনুষ্ঠান করে। এতদিন ছোট অনুষ্ঠান করতাম, এখন দল বড় হয়েছে বড় অনুষ্ঠান করেছি।’ পাশাপাশি তার মন্তব্য’ ‘আজকে ওনারা লোক পাচ্ছেন না, ওনাদের সঙ্গে কেউ নেই, ওদের কথে কেউ বিশ্বাস করতে পারছেনা, এটাতো আমাদের দোষ নয়’। অন্যদিকে, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের কলকাতায় আসার বিষয় তার মন্তব্য, ‘রুটিন বৈঠক চলবে, তারা জানেন পশ্চিমবাংলার বিশেষ পরিস্থিতি, লিখিতভাবে আমরাও অনেক কিছু জানিয়েছি।
আরো পড়ুন :হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কী সত্যিই পদ্ম ফুটবে? কী বললেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়?
খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন বিধি চালু করার’ বিষয়ও মত প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয় তিনি বলেন, ‘আমরা চাইব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ফেব্রুয়ারি থেকে আসুক’ বলে জানান তিনি। এরপর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৭ সাংসদের বিষয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ‘ওনার কথা আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মানুষ আজকাল গুরুত্ব দেয় ? না বোঝে ? নিজের আসন বাঁচিয়ে নিক অনেক হবে। এসব বলে দিদিমণির মন রাখার চেষ্টা করছেন’ বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
কুণাল ঘোষের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিষয় নিয়ে এবং দিলীপ ঘোষ কেন তাদের এক মন্চে রাখছেন। এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সেটাতো দল ঠিক করবে কী হবে না হবে। ওনার হয়তো কষ্ট যে ওনাকে পুলিশ ধরল আর ওনাকে ধরেছেনা কেন, যে কোন লোকের কাছে কোন তথ্য থাকলে তদন্তকারী সংস্থার কাছে দিতে পারে।’ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূল পথে নামছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল আগে এতদিন নামেনি কেন ? পশ্চিমবাংলার কৃষকরা মোদিজির সঙ্গে আছেন দিদির সঙ্গে নেই।’ তিনি জানান, ‘তিনি চ্যালেন্জ করেছেন, কলকাতায় তৃণমূল ১০ হাজার কৃষক নিয়ে মিছিল করলে তারা ৫০ হাজারের মিছিল করবেন।’