বাকি পাঁচ ভোটে তৃণমূলের ‘চাপ’ কেন?

।। ময়ুখ বসু ।।
বাংলায় বাকি এখনও পাঁচ দফা ভোট। ইতিমধ্যে দেশের চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে বাকি চার রাজ্যে এখন অনেকটাই চাপমুক্ত বিজেপি। ফলে বাংলায় বাকি পাঁচ দফা ভোটে তীব্র চাপ বাড়াতে চলেছে বিজেপি , এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের। এই চাপ কতটা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নিতে পারবে সেটাই এখন দেখার।
পদ্মশবির এবারে পুরো শক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলাকে কব্জা করতে চাইবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাকে পাখির চোখ করে বাংলায় এবার পুরো মাত্রায় ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি বিজেপির পুরো ব্যাটেলিয়ান। বিজেপির ফুল ফোকাসে এবার উঠে আসবে বংলা।
মূলত রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলকে টুঁটি চেপে ধরতে প্রস্তুত বিজেপি। একদিকে সোনার বাংলার স্বপ্ন আর অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুচ্ছের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব গেরুয়া বাহিনী। আর এভাবে যদি এখন প্রতিদিনই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বাংলায় এসে প্রচারের পারদ আরও তুলতে শুরু করে তাহলে বাংলায় আগামী পাঁচ দফা নির্বাচন আরও কঠিন হতে চলেছে তৃণমূলের কাছে।
এমনিতেই বাংলাকে প্রথম থেকেই পাখির চোখ করে নিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। বাংলার মসনদ দখল করতে ভোট পর্ব শুরুর আগে থেকেই তৃণমূল ভেঙে শক্তি বাড়াতে আরম্ভ করেছে বিজেপি।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, এরপর ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে বাংলার ভোট বাজারে অবতীর্ণ হয়েছে বিজেপি। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে বাংলা দখলের পথে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি।
আরো পড়ুন : প্রথম তিন দফায় ৯১টি আসনে বিজেপির জন্য বরাদ্দ কত, কী বলছে অমিত শাহ-র রিপোর্ট ?
আর এবারে দেশের বাকি চার রাজ্যে ভোট শেষ হয়ে যাওয়ায় বিজেপি বাংলায় প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের প্রায় অধিকাংশ নেতা নেত্রীরা প্রায় প্রতিদিনই বাংলায় ভোট প্রচারণায় আসতে শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের তরফে বলা যায় একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যে তৃণমূলের অন্যতম মুখ।
অন্যদিকে বিজেপির পুরো গেরুয়া বাহিনী। এখনও রাজ্যে মাত্র ৯১ টি আসনে ভোট হয়েছে। বাকি ২০০ টিরও বেশি আসন। ফলে বাকি আসনগুলিকে নজরে রেখে কোমর বাঁধছে বিজেপি। অন্যদিকে, ময়দানে জোর কামড় দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতিদিনই বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগারণ করে চলেছেন।
তবে তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা কতটা গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে প্রচারের লড়াইতে পেরে উঠবেন তা এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়। তার ওপর বিজেপির প্রচারে মোদী-অমিত-নাড্ডাদের সঙ্গে সামিল হতে আরম্ভ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় সেলেবও। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের ওপর।
পিসিসি