।। প্রথম কলকাতা ।।
RudraM-II Missile: বিধ্বংসী সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। শত্রু ঘাঁটির যেকোনো সিস্টেম কে গুঁড়িয়ে তছনছ করে দেবে ক্ষেপণাস্ত্রটি। এরকমটা ভারত করে ফেলবে নীরবে তা ভাবতে পারেনি তাবড় দেশগুলো। রুদ্রম ২-এর সফল পরীক্ষা। এটাই তো চেয়েছিলাম আমরা। শত্রুপক্ষ চোখের নিমেষে ধ্বংস। শত্রুদেশ গুলোর ভয় ধরছে। কী ঘটালো আমাদের ভারত দেখুন তাহলে গর্ব হবে আপনারও।
ভারত ব্যাপক সফল। কে ভয় দেখাবে ভারতকে? শত্রু দেশ গুলো জেনে গেল ভারত খতরনাক মিসাইলের সফল পরীক্ষা করে ফেলেছে। ভারতকে কোনোদিন দমানো যায়নি আর এবার সেটা কার্যত অসম্ভব। রুদ্রম ২ আমাদের গর্ব। রুদ্রম ২ হচ্ছে ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল। রুদ্রম ১ পরীক্ষা করার চার বছর পর ভারতের হাতে এল এই ব্রহ্মাস্ত্র।
বায়ু থেকে সোজা স্থলে নিক্ষেপ করার অস্ত্র এটি। মূলত যুদ্ধবিমান থেকে মাটিতে থাকা শত্রুদের ধ্বংস করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে রুদ্রম ২। গত বুধবারই নিজের সমস্ত লক্ষ্য ভেদের মাপদণ্ড পূরণ করেছে এই মিসাইল। একেবারে ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র। তারপর থেকেই কার্যত থরহরিকম্প শুরু হয়েছে শত্রু দেশগুলিতে। জানেন, কী কী বিশেষত্ব রয়েছে আমাদের ‘রুদ্রম ২’ তে? কোথায় হল ‘রুদ্রম ২’র পরীক্ষা?
গত কয়েকবছর ধরেই ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র উপহার দিয়ে চলেছে ডিআরডিও। ‘রুদ্রম ২’ও এমনই একটা। গত বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ‘রুদ্রম ২’ এর পরীক্ষা নেয় ডিআরডিও। যুদ্ধবিমান সুখোই ৩০ এমকেআই থেকে সমুদ্রে একটি ভাসমান লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা হয় অ্যান্টি র্যাডিয়েশন সুপারসনিক এই মিসাইল। নিমেষের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায় সেই বস্তু। সেই সাথে নজর রাখা হয় ক্ষেপনাস্ত্রটির অন্যান্য বিষয়গুলির উপরেও।
ডিআরডিও বলছে, রুদ্রম ২ এর প্রোপালশন সিস্টেম, কন্ট্রোল এবং গাইডেন্সও খুব ভালভাবে কাজ করেছে। পরীক্ষাটির সময় র্যাডার, টেলিমেট্রি স্টেশন এবং স্যাটেলাইটের সাহায্যে রুদ্রের গতিপথের উপরেও নজর রাখা হয়েছিল। আর এই সবকিছুতেই নাকি ১০০ তে ১০০ নিয়ে পাশ করেছে আমাদের রুদ্রম ২। তার সাথে সাথেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে নরেন্দ্র মোদির সশস্ত্র বাহিনী।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই রুদ্রম ২ এর কাজ কী? কেন এমন ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ভারত? রুদ্রম ২ এর কোন পাওয়ার দেখে ভয়ে কাঁপছে শত্রু দেশগুলি?
মাথায় রাখবেন আজকের আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হচ্ছে মিসাইল। ‘রুদ্রম ২’ হচ্ছে এমন একটি অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল যে নানা দিক থেকে শত্রুঘাঁটির একাধিক সিস্টেমকে নিমেষে তছনছ করে দিতে পারে। শত্রুপক্ষের জ্যামার, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল, রেডিয়ো সঙ্কেতের উৎস শনাক্ত করে সেগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। এমনকি এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট উচ্চতারও সীমাবদ্ধতা নেই। যে কোনও উচ্চতা থেকেই ‘রুদ্রম ২’ কে নিক্ষেপ করা সম্ভব। এছাড়াও অন্তত ২০০ কেজি পর্যন্ত বিষ্ফোরক বহন করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের ‘রুদ্রম ২’এর।
তবে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল ক্ষেপণাস্ত্রটির নির্ভুল ভেদশক্তি। রেডিও সঙ্কেত দেয় এমন যে কোনও বস্তুকে নিমেষের মধ্যে উড়িয়ে দিতে পারে এটি। ‘রুদ্রম ২’ এর নিশানা এতটাই পারফেক্ট যে শত্রুরা কিছু ভাবার আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে সবকিছু। অর্থাৎ এটা বুঝতেই পারছেন যে, শত্রুপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
https://www.facebook.com/share/v/mJJ9UWr76YGzVNQE/?mibextid=qi2Omg
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম