কবে নতুন দল ঘোষণা করছেন আব্বাস সিদ্দিকী?

।। সুদীপা সরকার ।।
২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচন। তাই ২১ তারিখ টিকে গুরুত্ব দিতে চলেছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি জানিয়েছেন নতুন বছরের বাংলায় নতুন রাজনৈতিক দলের পথ চলা শুরু হবে ২১ শে জানুয়ারি থেকে আগামী ২১ শে জানুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবে বাংলায় মূল্যবোধের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করবেন আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)। আপাতত ৮০ জন প্রার্থী তিনি দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়তেও পারে বলে তিনি জানান।
বাংলায় শিক্ষা নেই সুচিকিৎসা নেই প্রত্যেকটি মানুষ যাতে দুবেলা খেতে পায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই তাঁর নতুন দল ঘোষণা।বাংলার মুসলিম দলিত আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনসমাজের সামাজিক ন্যায় সাংবিধানিক অধিকার আত্ম মর্যাদার লড়াই স্বার্থরক্ষা গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষার আওয়াজ তুলে আগামী দিনেই নতুন রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্বে বহুদলীয় একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মীমকে তার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চেয়েছিলো।
আরো পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গেই একমাত্র গণতন্ত্র আছে, দাবি ফিরহাদের
কিন্তু তাতে বিফল হয়েছে শাসক দল। মিম প্রধান তার সাথেই নির্বাচনে লড়বে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য একুশের ভোটে সংখ্যালঘুদের মহাজোট জোট রচনায় কোন শর্ত রাখতে চায়নি মিম প্রধান । পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বৈঠক হয়। নির্বাচনের রণকৌশন নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়। ওয়াইসি জানিয়ে দিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকীর সাথেই পথ চলবেন। আব্বাস সিদ্দিকীর সাথেই মিম কাজ করবে বলে জানি দিয়ে গিয়েছিলেন মিম প্রধান।
লোকসভা ভোটে মিম বাংলায় প্রতিদ্বন্দিতা করেনি। তাতে ও বিজেপি ১৮ টি আসন পেয়েছিল। বাংলায় সংখ্যালঘু ভোট সব সময় পেয়ে এসেছে তৃণমূল। আব্বাস সিদ্দিকী তাঁর দল ঘোষণা করলে এবং নির্বাচনে প্রার্থী দিলে সংখ্যালঘু ভোট যে ভাগ হয়ে যাবে তৃণমূলের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আবারও বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। আর এর ফায়দা তুলবে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বঙ্গীয় রাজনীতির যা পরিস্থিতি আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui) নতুন দল ঘোষণা করলে রাজনীতির সমীকরণ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।