শুভেন্দুর স্লোগান কি তবে ব্রাশ আপ করে দিলেন দেবাংশু?

।। শর্মিলা মিত্র ।।
পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের জনসমাবেশ থেকে আবারও বিষ্ফোরণ ঘটালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। প্রথমেই তিনি মন্তব্য করেন ‘বিজেপি নেতারা বুঝছেন তাদের একার দ্বারা হবেনা। তাই দিল্লি থেকে অমিত শাহ এসেছেন হাতে একটা বাটি নিয়ে আর সেই বাটি নিয়ে তিনি কালীঘাটের দিদির বাড়ির সামনে গিয়ে দিদি একটা নেতা দেবে দিদি একটা নেতা দেবে’।
‘তার মানে বিজেপির লোকেরা বুঝে গেছে বিজেপির লোকদের দিয়ে হবেনা। তৃণমূল থেকে লোক আনতে হবে।’ মন্তব্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)। পাশাপাশি তার তোপ, ‘এখন ভোট পিছোতে চাইছে।’ তার প্রশ্ন ‘কারা যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে যেতে চায় ? তার মন্তব্য ‘যারা বোঝে তারা লড়লে হারবে। এখন তাই এরা যুদ্ধ পিছানোর ধান্দা করছে।’
তার বিষ্ফোরক মন্তব্য, ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে কালসাপ সবার ঘরে, কালসাপ নিজে বলছে আমি তোমার ঘরে ছিলাম।’ তার মন্তব্য, ‘শুভেন্দুবাবুরা তৃণমূলে ঢুকেছিল কালসাপ হয়ে। ভেতরে ছোবল মারছিল। কার্বলিক অ্যাসিড ঢালা হয়েছিল তাই পিলপিল করে বেরিয়ে গেছে’ বলে কটাক্ষ দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)। পরের মন্তব্য তার ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূলের সব পচা মাল বিজেপির ঘরে।’ ‘বল হরি হরি বল বিজেপিকে কাঁধে তোল’ এইভাবে স্লোগানের পর স্লোগান সাজিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দেবাংশু। এরপর সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় তিনি বলেন, ‘আপনারাতো জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ধ বিশ্বাস করে শুভেন্দুবাবুর হাতে পূর্ব মেদিনীপুরটা ছেড়ে রেখেছিলেন।’
আরো পড়ুন : পিসি ভাইপোর সেন্টিকেট কোম্পানি বাংলার মানুষ দূর করে দেবেই, দাবি লকেটের
তার প্রশ্ন, ‘এটা কী দিদির ভুল হয়েছিল ?’ তার প্রশ্ন ‘মা যদি সন্তানকে স্নেহ করে বিশ্বাস করে ঘরের চাবি দেন, সেটাতো মায়ের দোষ নয়। কিন্তু সন্তান যদি কূলাঙ্গার হয় আলমারি খুলে সব চুরি করে নিয়ে যায়। সেই কূলাঙ্গার বিশ্বাসঘাতক সন্তানকে মা ক্ষমা করে দিলেও কেউ ক্ষমা করেনা’। তার মন্তব্য, ‘খেলা হবে, তোমাদের ব্যাট আনো তোমাদের বল আনো তোমাদের উইকেট আনো তোমরা ঠিক কর মাঠে ঘাস থাকবে না শুকনো হবে ফ্লাডলাইটও তোমাদের। আম্পায়ারও আনো তোমরা। আমাদের তরফ থেকে শুধু একজন সাদা শাড়ি পড়া হাওয়াই চপ্পল পড়া ৬৫ বছরের একজন মহিলা ময়দানে থাকবেন। কার কত কব্জির জোর দেখে নেব।’ ‘তৃণমূল থেকে আর কাকে নেবে নিয়ে নাও, সব নিয়ে নাও, নিয়ে কী হচ্ছে জানেন বাংলার মানুষ দেখছেন যাদের চোর বলতে তাদেরকে ওয়াশিং মেশিনে চুবিয়ে বলছে এইতো সাধু হয়ে গেছ।’
‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে এদের সবাইকে একবার আছাড় মারা হচ্ছে। আছাড় মেরে মেরে সাবান দিয়ে কেচে সবাই সাধু হয়ে গেছে। নারদা সারদার কালো দাগ চলে গেছে’ বলেও কটাক্ষ করেন দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)। ‘দিদি পচা আলু পচা পেঁয়াজ জানলা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন দিদি তো জানেনা নীচে বাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অমিত শাহ সেগুলো নিয়ে নিচ্ছেন। আর এর জন্য কী হচ্ছে, পচা মালগুলো নিয়ে গিয়ে রান্না করে বিজেপি কর্মীদের খাওয়াচ্ছে তাদের আমাশা হচ্ছে।’ ‘আমাশা হওয়ার কারনে শুরু হয়েছে বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।’ কটাক্ষ দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)। এইভাবেই আজ চন্ডীপুরের জনসমাবেশ থেকে একের পর এক বিষ্ফোরণ ঘটান তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya)।