।। প্রথম কলকাতা ।।
ভোল বদলাচ্ছে হাওড়া স্টেশনের। হবে সৌন্দর্যায়ন। সেই সঙ্গে থাকছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন। ট্রেনযাত্রাকে আরও নির্বিঘ্ন ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। কি কি হবে?ক ত টাকা ব্যয় হবে এই কাজে? কতদিনের মধ্যে সে কাজ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। দেশের এক প্রান্ত আরেক প্রান্তের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বিশাল এক রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। দেশের এমন কোনও জায়গা নেই যেখান থেকে রেলের পরিষেবা মেলে না। মানুষের সুবিধার্থে আরো কিছু প্রত্যন্ত জায়গায় রেল পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। সেইসঙ্গে ব্যস্ত রেলপথগুলির পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হচ্ছে। তাতেই পাল্টে যেতে চলেছে হাওড়া স্টেশন। দেশের ৪০টি স্টেশনের ভোল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া স্টেশন।
প্ল্যাটফর্ম ও লাইন সংস্কারের জন্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে প্রায় ৯০ বছরের পুরনো হাওড়ার চাঁদমারি ব্রিজ। তৈরি হচ্ছে নতুন ঝুলন্ত সেতু। হাওড়া স্টেশনে ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন এখান দিয়ে যাতায়াত করেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রেল সূত্রে খবর, যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে অন্তত ২৬ বগির মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো প্রয়োজন। কিন্তু এখন হাওড়া স্টেশনে মাত্র চারটি প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে ২৬ বগির ট্রেন দাঁড়াতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রেল স্টেশনের ভোল বদলের ভাবনা। স্টেশনের পিছন দিকে রয়েছে ১৯৩৩ সালে তৈরি চাঁদমরি ব্রিজ। যেটি রয়েছে পিলারের ওপর। ওই পিলারের জন্য প্ল্যাটফর্ম বা লাইন বাড়ানো যাচ্ছিল না। তাই প্রায় ৯০ বছরের পুরনো সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরনো সেতুর পাশেই বানানো হচ্ছে একটি নতুন ব্রিজ। সেটি হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো ঝুলন্ত। কাজ চলছে জোর কদমে।
ভারতীয় রেল একসঙ্গে সাতটি করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের রূপরেখা একপ্রকার আমূল বদলে যেতে চলেছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে।জানা গিয়েছে, দিল্লি-হাওড়া, মুম্বই-হাওড়া, দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই, হাওড়া-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই- এই সাতটি হাই ডেনসিটি করিডোরের মাল্টি ট্র্যাকিং হবে। এজন্য ৪.২ লক্ষ কোটি টাকার মেগা প্ল্যানের প্রস্তাব করেছে ভারতীয় রেল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছে রেলমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে,আগামী ১০ বছরে এই করিডোরের বিভিন্ন অংশে ট্র্যাফিকের চাহিদা পূরণ করা হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন স্থাপন করা হবে।
এই পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মাণও রয়েছে। রেলওয়ে এই করিডোরগুলিতে ২১৩ টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছে ।প্রথম পর্যায়ে ২০০ টির কাজ সম্পন্ন হবে।দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রেলবোর্ড এবং মন্ত্রককে আরও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রেল। সাতটি করিডরে আরও ট্রেন চালানোর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হবে। এতে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেন আরও দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম