Vietnam China: ভিয়েতনামে ঠাসা সোনা-হীরে! তীক্ষ্ণ নজর শি’র, কোন অস্ত্রে ঘায়েল যুক্তরাষ্ট্র ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Vietnam China: প্রাকৃতিক সম্পদে ঠাসা ভিয়েতনামেই তীক্ষ্ণ নজর, ঝোপ বুঝে কোপ মারছে চীন? ভিয়েতনামকে কাছে টেনে যুক্তরাষ্ট্রকে সবক শেখাতে মরিয়া শি জিং পিং। ইরাদা সফল হবে? হ্যানয় সফরে লুকিয়ে কোন রহস্য? কোন কৌশলে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যালেন্স করবে দেশটা?ভিয়েতনামের সামনে বড় পরীক্ষা। ভিয়েতনাম চীনের হাতে গুপ্তখাজানা বিরল মৃত্তিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ ভিয়েতনামের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? কার ঘরে লাভের ফসল? কারই বা ক্ষতি? চীনের নজর আছে! দেশটার সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে হ্যানয় সফরে শি জিং পিং। কিন্তু, বাইডেনের হ্যানয় সফরের কথা ভুলে গেলে চলবে না।

লটারি লেগে গেছিল আমেরিকার হাতে। অন্যদিকে, এটাও ফ্যাক্ট ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক পার্টনার চীন। দেশটির নির্মাণ খাতসংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের বড় একটি অংশের জোগান দেয় বেইজিং। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সেই ভিয়েতনামে গিয়েই জো বাইডেন কতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছেন, সেটাও এবার চীনের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। শি জিং পিং এমন একটা সময় ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছেন যখন ওয়াশিংটন এর সঙ্গে হ্যানয়ের সম্পর্ক যথেষ্ট জোরালো। দুটো দেশের মধ্যে একাধিক ডিল হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগর কে কেন্দ্র করে এক প্রকার তলানিতে ঠেকেছে চীন ভিয়েতনাম সম্পর্ক। যে সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাইটেন ভিয়েতনামে নিজের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা চালিয়েছে। বিরল মৃত্তিকা, সেমিকন্ডাক্টর, ভিয়েতনামের অস্ত্রের বাজার এগুলোই টার্গেটে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর ভিয়েতনাম সফর করবেন। এই সফরে তিনি ভিয়েতনামের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন। রাজনৈতিক নিরাপত্তা, বহুপক্ষীয় ও সামুদ্রিক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টাও গুরুত্ব পাবে। চীনের জন্য একটাই প্লাস পয়েন্ট। চীনের মতোই ভিয়েতনামও, দুই দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে। এ জন্য শি জিনপিংয়ের সফরের আগে বেশ কয়েক জন চীনা কর্মকর্তা ভিয়েতনাম সফর করেছেন। দেশটার প্রতি বিরাট আগ্রহ চীনের।

জানিয়ে রাখি, ভিয়েতনাম সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে চলেছে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অলরেডি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্বে নিয়ে গেছে ভিয়েতনাম। এক সময়ের শত্রু ওয়াশিংটনকে বেইজিং ও মস্কোর সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে হ্যানয়। মোদ্দা কথা এক সফরেই কিস্তিমাত করেছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু চীনের দখলদারি পলিটিক্স যেভাবে ভিয়েতনাম বেজিং সম্পর্কে ঘুন ধরিয়েছে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবারের সফরে কোন ডোজ দেবেন সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। ভিয়েতনাম কে হাতছাড়া করতে নারাজ চীন। তাই যেনতেন প্রকারে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেওয়াই চীনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version