আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি, মন খারাপ দুই দেশের!

।। প্রথম কলকাতা ।।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত জো বাইডেন নতুন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট নিয়োগ করলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হলেন জেক সুলিভান।
৫৮ বছরের ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ছিলেন।
ভারত নিয়ে ব্লিঙ্কেনের সাম্প্রতিক বিবৃতি খেয়াল করলে বোঝা যাবে সেক্রেটারি অফ স্টেট হিসেবে তাঁর নিয়োগ ভারতের পক্ষে সুসংবাদ, পাকিস্তানের পক্ষে দুঃসংবাদ।
৯ই জুলাই ওয়াশিংটন ডিসির হাডসন ইন্সটিটিউটে ভাষণ দেওয়ার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীরতর ও শক্তিশালী করাই একটি উচ্চ প্রাথমিকতার বিষয়। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অ্ঞ্চলের ভবিষ্যৎ ও আমরা যে ধরণের শৃঙ্খলা চাই তার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি নায্য, স্থিতিশীল ও আরও গণতান্ত্রিক এবং এইসব বিশ্বজনীন সমস্যার সমধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“আমার মনে হয় এটা রিপাবলিকান ও ডেমোক্রাট প্রশাসনের সাফল্য। ক্লিন্টন প্রশাসন, বুশ প্রশাসন, তারপরে আবার ওবামা-বাইডেন প্রশাসন।“ বলেন তিনি।
বাইডেনের অবদান নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, বুশ প্রশাসনের সময় সেনেটর বাইডেন ওই প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি, ১২৩ চুক্তিতে সাহায্য করেছিলেন মার্কিন সেনেটের মাধ্যমে। যা আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন কীভাবে ওবামা প্রশাসনের সময় আমেরিকা ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার বানিয়েছিল। ওবামা-বাইডেন প্রশাসনের সময় সুদৃঢ় অগ্রগতি হয়েছিল প্রথমে প্রধানমন্ত্রী সিং ও পরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমলে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বাণিজ্যে উদ্যোগ নিয়ে।
১৫ই আগস্ট ব্লিঙ্কেন ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের বিষয়টি তোলেন। বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্টানগুলিতে ভারতের নেতৃত্বদায়ী ভূমিকাকে সমর্থন করে আমেরিকা। ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আসন দেওয়ার ব্যাপারেও সমর্থন করে আমেরিকা।
চীনের আগ্রাসী নীতি নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমাদের দুদেশেরই সাধারণ চ্যালেঞ্জ হল চীনের আগ্রাসন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের প্রতি আগ্রাসন। এবং অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে অনায্য সুবিধা নেওয়া। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট হিসাবে জো বাইডেন গণতন্ত্র বজায় রেখে ভারতের মত ঘনিষ্ঠ পার্টনারের সঙ্গে কাজ করবেন, শক্তির দিক থেকে চীনকে সতর্ক রাখতে। ভারত এই উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত ভারতের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে। সন্ত্রাস-বিরোধী অংশীদার হিসেবেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমরা অসহনশীল, দক্ষিণ এশিয়া বা অন্য যেকোনও জায়গায়।