।। প্রথম কলকাতা ।।
Business Idea: রোজগারের পথ শুধুমাত্র এক ধাঁচের ব্যবসা হতে পারে না। একমাত্র মূলধন বিনিয়োগ এবং কর্মী নিয়োগ করেই আয়ের পথ সুনিশ্চিত করা যায় না। চাকরি এবং চিরাচরিত ব্যবসা ছাড়াও উপার্জন করার আরও বহু পথ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল নিজের জ্ঞান এবং দক্ষতাকে (Skills) পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করা। বর্তমান অভিভাবকরা পড়াশোনা ছাড়াও তাদের সন্তানকে আরও অন্যান্য বিষয়ে উৎসাহিত করে থাকেন নাচ, গান, আঁকা, আবৃতি, ক্যারাটে, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ আরও বিভিন্ন দিক রয়েছে বাচ্চাদের আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলার জন্য।
এই সমস্ত দিকে যদি কোন ব্যক্তির গভীর জ্ঞান এবং দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে তিনি বাচ্চাদেরকে সেগুলি শেখানোর মাধ্যমে নিজের উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে পারবেন। এই ধরনের ব্যবসার প্রাথমিক মূলধন হবে আপনার নিজের ধৈর্য্য, ক্ষমতা এবং ছাত্র-ছাত্রী। আর এই ব্যবসার বিষয়বস্তু বিভিন্ন হতে পারে। কেউ নাচ বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারেন, কেউ গান, কেউ আবৃত্তি বা আঁকায় দক্ষ অথবা কেউ অন্যান্য কাজে। তাই সব দিকে না ছুটে যেকোনো একদিকে মনস্থির করে যদি কাজ শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সাফল্য মিলবে।
ধরে নেওয়া যাক কোন ব্যক্তি নিজে বহু বছর নাচ শিখেছেন এবং তিনি আরও দশ-বিশটা ছাত্রদের শেখানোর জন্য তৈরি তিনি। এখানে তিনি নিজের উপার্জনের জায়গা তৈরি করতে পারেন। তার জন্য তাকে সর্বপ্রথম একটি নির্দিষ্ট জায়গা খুঁজতে হবে। বাড়িতে জায়গা থাকলে খুবই ভালো কথা আর না থাকলে নিতে হবে ভাড়া। তারপর ধীরে ধীরে যাতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন প্রচারের। নিজের সংস্থার প্রচার নিজেকেই করতে হবে । ব্যানার ফেস্টুন সহ সোশ্যাল মিডিয়াকে দারুন ভাবে কাজে লাগাতে হবে। আপনি সারা বছরের জন্য ক্লাস রাখতে পারেন অথবা ওয়ার্কশপ (Workshop) এবং ওপেন কোর্সে (Open Course) শুরু করতে পারেন নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য।
প্রচারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং তাদের অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব । নির্দিষ্ট ফিজ নির্ধারণ করতে হবে, নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। আর সর্বোপরি নিজের জ্ঞান ভান্ডার থেকে প্রায় সবটুকু উজাড় করে দিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। হাতে ধরে একেবারে প্রথম ধাপ থেকে তৈরি করতে হবে তাদের । এই ভাবেই পরিচিতি বাড়তে শুরু করলে এমনিতেই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে ঠিক এই একই পথে উপার্জন করা যায় অন্যান্য ক্ষেত্রেও। এখন বহু ছেলেমেয়ে এমন রয়েছে যারা ড্রইংয়ের টিউশনি করাচ্ছেন অথবা গান শেখাচ্ছেন। এই ধরনের গুণ এবং দক্ষতা গুলিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। গুণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা এবং সেই জ্ঞান মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া শিল্পের পরিচয়। কাজেই শিল্পীসত্তাকে কাজে লাগিয়েও নিশ্চিত করা যায় মাসিক উপার্জন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম