Toothache: ঠান্ডায় দাঁতের যন্ত্রণায় কুপোকাত! রেহাই পাবেন আপনার হেঁশেলের জিনিসেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Toothache: ঠান্ডা পড়তেই একাধিক রকমের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় শরীরে। হঠাৎ করে সর্দি কাশি , হালকা জ্বর, মাথা যন্ত্রণা এমনকি দাঁতের যন্ত্রণা। এইগুলি থেকে আরাম পাওয়ার জন্য অনেকেই দোকান থেকে কিনে আনা ওষুধের উপর ভরসা করেন। তবে যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দাঁতের যন্ত্রণা (Toothache) প্রচন্ড বেদনাদায়ক। কোন ঠান্ডা জিনিস খেলে অথবা সামান্য ঠান্ডা হাওয়া লাগলেই দাঁতে ভীষণভাবে যন্ত্রণা শুরু হয় । সব সময় বাজার থেকে কিনে আনা ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপকরণের ওপরেও ভরসা করা উচিত।

ঘরোয়া কিছু সামান্য টোটকা আপনাকে শীতে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে পারে। যেমন ধরুন হালকা গরম (Warm Water) জলে এক চিমটে নুন ফেলে দিয়ে সেই জল দিয়ে যদি কুলকুচি করা হয় তাহলে দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে। হালকা গরম নুন জল মুখের ভেতরে থাকা সমস্ত জীবাণুকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এতে দাঁতের ব্যথা কমে । প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার হালকা গরম নুন জল দিয়ে কুলকুচি করলে অবশ্যই ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।

অনেকেই আবার মুখে দু-তিনটি লবঙ্গ (cloves) রাখতে পছন্দ করেন। লবঙ্গের স্বাদ খানিকটা ঝাঁজালো হয়। এটা দাঁতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। প্রয়োজনে লবঙ্গের তেল দাঁতে লাগানো যেতে পারে । অথবা লবঙ্গ গুঁড়ো করে আর সেই গুঁড়োর মধ্যে হালকা জল মিশিয়ে দাঁতের যেখানে ব্যথা সেখানে লাগালে উপকার মিলবে। রসুনের কোঁয়াও দারুন ভাবে দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। কারণ রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা দাঁতের জীবাণু মেরে ফেলতে পারে ।

পুদিনা (Mint) পাতার চা দাঁতের ব্যথা কমাতে ভীষণভাবে কাজ করে। পুদিনার তেল দাঁতের মধ্যে লাগিয়ে রাখা যেতে পারে । কারণ পুদিনার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা মুখকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় দাঁতে ব্যথার পাশাপাশি তাদের দাঁতের মাড়িগুলিও ফুলে যায়। এটাও হয় ঠান্ডা লাগার জন্য । যাদের ঠান্ডা লাগার ধাঁত রয়েছে তাঁরা এই সমস্যায় প্রায়ই ভোগেন। এক্ষেত্রে হালকা গরম নুন জল ভীষণ উপকার করে। এছাড়াও গাছের অ্যালোভেরা জেল মাড়িতে লাগিয়ে রাখলে ফোলা ভাব কমে দ্রুত। অনেক সময় এই দাঁতের যন্ত্রণা বহু মানুষকে ভীষণভাবে ভোগায় । সেক্ষেত্রে ঘরোয়া উপকরণে যদি আরাম না মেলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version