বর তো আছে, কোথায় কনে? দারুণ তথ্য বাইরে এলো চিনারা বিয়ের পাত্রী এখান থেকে জোগাড় করছেন

।। প্রথম কলকাতা ।।
পাত্রীর অভাব, হ্যাঁ এই সমস্যাতেই ভুগছে চীনের বিবাহযোগ্য যুবকেরা। বিপুল জনসংখ্যায় চাপে মেয়ে কম ছেলে বেশি হয়ে গেছে শি জিং পিনের দেশে। তাই পড়শি দেশ পাকিস্তান থেকে মেয়ে তুলে এনে বিয়ে সারছে চীনারা। তবে স্ব ইচ্ছায় নয় জোর করে বিয়ের আসরে বসতে হচ্ছে পাকিস্তানী মহিলাদের। মূলত পাকিস্তানের সংখ্যালঘু এলাকায় হানা দিছে এসব চীনারা আর মনমর্জি তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভিন্ন ধর্মের মেয়েদের। পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্ক ভালো হওয়ায় এই সুযোগ পাচ্ছে তারা। আবার কিছু দিন আগে দুই দেশের বাণিজ্যিক করিডর তৈরি হওয়ায় এর সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে সূত্রের খবর।
কম বয়সি হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান মেয়েরাই টার্গেট হচ্ছে বেশি। যদিও এই বিষয়ে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি পাকিস্তানী সরকারকে। বর্ডার সীমান্তের প্রতন্ত কিছু এলাকা থেকে শুরু করে লাহোর, ফয়সালাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি মতো এলাকা থেকে তুলে আনা হচ্ছে মহিলাদের। তারপর তাদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। মূলত পাকিস্তানী দরিদ্র পরিবারগুলি তাদের মেয়েদের অর্থ এবং ভিসার বিনিময়ে চীনা নাগরিকের সাথে বিয়ে দেয়। আসলে বেজিংয়ের সাথে পাকিস্তানের লাভজনক সম্পর্কে ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপও নেয়নি পাক সরকার।
পিতামাতাদের বলা হয় যে তাদের নতুন জামাই ধনী খ্রিস্টান তাই ধর্মান্তরিত হতে হবে, তবে বেশিরভাগ কনে এবং তাদের পরিবার অনুসারে প্রায়শই বরগুলি হয় না। ফলপ্রসূ বহু মেয়েদের নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে আসতে হয় অথবা আত্মহত্যা করতে হয়। সাধারণত প্রতি বছর চীনের তরফ থেকে বিশাল অঙ্কের অনুদান পৌঁছয় পাকিস্তানে। এছাড়া রয়েছে দুই দেশের বিপুল আমদানি রপ্তানি। তাই এই বিষয়ে সেরাম নাক গলাতে দেখা যায়নি ইমরান খান সরকারকে। তবে ছেলে মেয়ের এই গড়মিল সমস্যায় বেশ জর্জরিত চীনারা। যার ফলস্বরূপ বিবাহযোগ্য কনের অভাবে উঁকি দিতে হচ্ছে পড়শি দেশে।