Sandeep Maheshwari: স্কুটার ভাড়া দিয়ে চলতো ঘর, সন্দীপ মাহেশ্বরী কীভাবে ইউটিউব সেলিব্রেটি হলেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sandeep Maheshwari: সন্দীপ মাহেশ্বরী, চেনেন এনাকে? গোটা বিশ্ব এনার কথা মন দিয়ে শোনেন। সন্দীপ মাহেশ্বরী এমন কি বলেন যা শুনলে জীবন পাল্টে যায় । একসময় স্কুটার ভাড়া খাটানো সন্দীপ এত বড় স্পিকার হলেন কীভাবে? তাঁর গুরু কে জানেন? সন্দীপ মাহেশ্বরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানলে আপনি বিশ্বাস করবেন না।

তার কথা তার জীবন এগিয়ে চলার টোটকা শুনলে যেন মনে হয় সব সমস্যা এক চুটকিতেই সমাধান হয়ে যাবে। কার কাছে এসব কথা শিখলেন ইউটিউব সেনসেশন সন্দীপ মাহেশ্বরী। কার কাছে পেলেন মোটিভেশনাল স্পিকার হওয়ার ট্রেনিং? জানেন একসময় মডেলিংও করতেন সন্দীপ মাহেশ্বরী। তবে এতটা সহজ ছিল না জীবন, একেবারেই সহজে সাফল্য আসেনি। প্রথম দিকে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালই ছিল। বাবার অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা ছিল। কিন্তু সেই ব্যবসা ভেঙে পড়ার পরই পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে সন্দীপের। সন্দীপ তখন দশম শ্রেণিতে পড়েন। যত দিন যাচ্ছিল সঞ্চয়ের টাকাও ফুরিয়ে আসছিল। এরপর সন্দীপের বাবা আরও অনেক ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনওটাই আর সে ভাবে দাঁড় করাতে পারেননি। ছোট থেকে অবশ্য একটা বিষয় সন্দীপ খুব ভাল করেই বুঝে গিয়েছিলেন। জীবনে দাঁড়াতে গেলে টাকা উপার্জন করতেই হবে। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই সেটা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। বাবা তাঁকে একটা স্কুটার কিনে দিয়েছিলেন। প্রথম প্রথম বন্ধুদের কাছে সেই স্কুটারটা ভাড়া খাটাতেন তিনি। বদলে মিলত প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা।

সন্দীপ মেধাবী ছিলেন কিন্তু পারিবারিক সঙ্কটের জেরে পড়াশোনাও খুব বেশি দূর চালাতে পারেননি। কিরোরিমল কলেজে পড়ছিলেন, কিন্তু মাঝ পথেই পড়া থামিয়ে দিতে হয় তাঁকে। মাত্র ১৯ বছরে তিনি শুরু করেন মডেলিং। তবে সেই দুনিয়া এত মানসিক নিগ্রহের শিকার হয় তাঁকে যে সেখানে বেশিদিন টিকতে পারেননি সন্দীপ। তবে তিনি তা নিয়ে পড়ে থাকেননি। ২০০২ সালে অন্য একটি ফটোগ্রাফি কোম্পানি খোলেন। কিন্তু সেই কোম্পানি খোলার মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৬ সালে ‘ইমেজেস বাজার’ খোলেন। এই ইমেজেস বাজারই ছিল তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট সে সময় তিনি একসঙ্গে টেলিকলার, কাউন্সেলর এবং ফটোগ্রাফারও। আজ, এই সংস্থার সাত হাজার ক্লায়েন্ট ছড়িয়ে আছে ৪৫টি দেশে।

মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি দেশের সফলতম উদ্যোগী হন। তাঁর জীবনের মূল মন্ত্র, ‘ব্যর্থতাকে ভয় পেয়ো না’ এবং ‘নিজের এবং অন্যদের প্রতি সৎ থাকো’। এরপর একজন মোটিভেটর হয়ে পথ চলা শুরু হয় মাহেশ্বরীর। সন্দীপ মাহেশ্বরীর ২৮.৫ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তার রক্ত গরম করা কথা শুনে উদ্ধুদ্ধ হন দেশে বিদেশের বহু মানুষ। আর এই সন্দীপ মাহেশ্বরীর গুরু কে জানেন? জীবন, হ্যাঁ জীবনের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে বড় বড় ব্যর্থতাই তার গুরু। হয়তো নিজেকে আয়নাতে দেখতে পান বলেই অন্যের আয়না হয়ে উঠেতে পেরেছেন সন্দীপ মহেশ্বরী।https://www.facebook.com/100069378195160/posts/704441591878441/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

Exit mobile version