যত কান্না তত হাসি! রান্না থেকে স্বাস্থ পেঁয়াজেই ভরসা রাখি

||শুভ্রদীপ চক্রবর্তী||
রান্নাঘরের এক সমৃদ্ধশালী উপাদান পেঁয়াজ। খাবারের বিভিন্ন পদে এর ব্যবহার অপিরহার্য। কিন্তু শুধু স্বাদের বাহারে নয় এর ভূমিকা আপনার শরীরের উপকারেও রয়েছে। পিঁয়াজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস কোরাসিটিন এবং সালফার, ফোলেট, পটাসিয়াম প্রভৃতি উপাদান শরীরের বিভিন্ন খাতে ভীষণ ভাবে উপযোগী। তবে স্বাস্থ্যের কি কি কাজে লাগে পিঁয়াজ আসুন জেনে নেওয়া যাক।
রোগ প্রতিরোধে
পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-সেপ্টিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ভিনদেশি বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
ডায়াবেটিস
পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে যার ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে যায়।
হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে
গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলাদের 40 বা তার বেশি বয়স তাদের পেঁয়াজ গ্রহণের ফলে হাড়ের স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি বৈচিত্র পাওয়া যায়। অর্থাৎ যারা ঘন ঘন পেঁয়াজ খায় তাদের হাড়ের মধ্যে ঘনত্ব তৈরি হয়।
হজম শক্তি
পেঁয়াজ হলো ইনুলিন সমৃদ্ধ, এটি এক ধরণের ফাইবার যা প্রিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। সংক্ষেপে, প্রিবায়োটিকগুলি প্রোবায়োটিকগুলির খাদ্য হিসাবে পরিবেশন করে এবং উপকারী জীবাণুগুলিকে উন্নত করতে সহায়তা করে। ইনুলিন কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ আরও উন্নত করতে, পুষ্টির শোষণকে বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যকর হাড়ের ঘনত্বকে সহায়তা করে।
ক্যান্সার
ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা পালন করে পেঁয়াজ। মাথা, ঘাড় ও কোলন ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে।
জ্বর সর্দি কাশি
জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, এলার্জি ইত্যাদি নিরাময়ে পেঁয়াজের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। পেঁয়াজের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে চটজলদি এই সব রোগের থেকে দূরে থাকা যায়।
এছাড়া গ্যাসের সমস্যা, ব্যথা নিরাময়, ক্ষত সারাতে, চুল পড়া বন্ধ করতে, চুল পরিষ্কার রাখতে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে এবং আরও অনেক সমস্যা দূর করতে অন্যতম প্রতিষেধক এই পেয়াজ।