হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস মোগলমারি ও কুরুমবেরা

||শুভ্রদীপ চক্রবর্তী||
পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বৌদ্ধ বিহার হলো মোগলমারি। আনুমানিক ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতাব্দীর মধ্যে এই বৌদ্ধ বিহার ছিল খুবই প্রসিদ্ধ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ বিহার মোগলমারি। এই জায়গার নাম করন হিসেবে দুটি মত শোনা যায়। মোগলরা নাকি একসময় এই পথ মাড়িয়ে যেত তাই এই জায়গার নামকরন। আবার কথিত আছে মোগলমারি বৌদ্ধ বিহারে ছিল বুদ্ধদেবের দাঁত সেই থেকেই এর নামকরন। এই জায়গার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো ‘সখিসেনা ঢিবি।’ এই সখি সেনা ঢিবি নিয়ে জড়িত আছে একটি দারুন প্রেমকাহিনী। বর্তমানে মোগলমারি রাজ্য সরকারের ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস পাতায় জায়গা করে নিয়েছে।
এর কিছুটা আগেই তৈরি হোয়েছে আরেক ঐতিহাসিক নিদর্শন কুরুম্বেরা। হিন্দু মুসলিম দুই ধর্মের স্থাপত্য রীতিতে তৈরী হয়েছে এই দুর্গ। শোনা যায় রামচন্দ্র নাকি ভাই লক্ষণ ও স্ত্রী সিতার সঙ্গে আসেন তাই তাদের আগমনে রাতারাতি এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এই তত্ত্ব আদতে কতটা সত্যি তা জানা নেই। ৬৯ টা থাম বিশিষ্ট বারান্দা নিয়ে মাকরা পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই ঐতিহাসিক দুর্গ।
কিভাবে যাবেন?
ট্রেনে হাওড়া স্টেশন থেকে মোগলমারি পৌঁছতে পারেন অথবা খড়্গপুর থেকেও ট্রেনে পৌঁছনো যায় মোগলমারি।
বাসে আসতে গেলে কলকাতার ধর্মতলা থেকে খড়্গপুর হয়ে পৌঁছতে পারেন মোগলমারি।