বাম আমল না বর্তমান সরকার, টলি ইন্ডাস্ট্রির উপর কার প্রভাব, পরিস্কার করলেন লামা

।। শর্মিলা মিত্র ।।
টলিউডেও এবার কী লাগছে গেরুয়া রং-এর ছোঁয়া। রুদ্রনীল ঘোষের দলবদলের পর থেকেই কিন্তু উঠছে এই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন টলিউডের প্রথম সারির নেতা যশ দাশগুপ্ত সহ আরও অনেকেই। ইতিমধ্যেই অরিন্দম শীলের বাড়ি পৌঁছে যেতে দেখা যায় শঙ্কুদেব পন্ডাকেও। আর তারপরই সবথেকে বড় চমক দিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের ডাকে সাড়া দিয়ে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৌঁছে যেতে দেখা যায় শাসকদল ঘনিষ্ট বেশিরভাগ তারকাদেরই। মমতাশঙ্কর থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায় থেকে পাওলি দাম, অরিন্দম শীল থেকে গৌতম ঘোষ কেউই বাদ যাননি সেই অনুষ্ঠানে।
আর এবার টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীদের ঠিক কী অবস্থান ? বাম আমল না বর্তমান তৃণমূল সরকার টলিউডে কোন সরকারের প্রাধান্য বেশি থেকেছে, এই বিষয় নিজের মতামত জানালেন অভিনেতা লামা। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কখনই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়নি টলি ইন্ডাস্ট্রির উপর। বর্তমান সরকার আসার পর থেকেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়। বিভিন্ন প্রোডিউসারদের নিজেদের হাতে নিয়ে স্বৈরাচারী শাসন চালু হয় ইন্ডাস্ট্রিতে।’ ‘এটা খারাপ, এটা বন্ধ হওয়া উচিত, সমস্ত শিল্পীদের তরফে তাঁর এটা আবেদন’ বলে জানান অভিনেতা লামা।
পাশাপাশি দশ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে শাসকদলের যে আধিপত্য দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে অভিনেতা লামা বলেন, ‘আজকে যদি বলেন যে, যোগ্যতা থাকলেও কোনো শিল্পীকে কাজ দেওয়া হবেনা। এটা ঠিক নয়।’ তিনি বলেন জুনিয়র টেকনিশিয়না প্রচন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। এদের উপর কোনোভাবে চাপ দেওয়া হয়।’ বলেও মন্তব্য করেন অভিনেতা লামা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ‘এই দুই ভাইয়ের উপর ক্ষোভ নেই এমন কেউ নেই’ নাম না করে এইভাবেই অরূপ বিশ্বাসদের কটাক্ষ করেন অভিনেতা লামা।