অনুমোদনের ১০ দিনেই টিকাদান শুরু করতে প্রস্তুত সরকার

।। প্রতীক রায়।।
দেশে করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে সরকারের এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
এরইমধ্যে একাধিক টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে জল্পনা চলছিল ঠিক কবে থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরকারের এমন প্রস্তুতির কথা জানানো হলো। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘টিকার মহড়া নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া মিলেছে, তার ওপর ভিত্তি করে সরকার জানিয়েছে যে, জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার।’
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, স্বাস্থ্য সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি জরুরিভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। দেশটির ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি এ অনুমোদন দেন। এই অনুমোদনের একদিন আগে থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় করোনা টিকাদান কর্মসূচির মহড়া। অর্থাৎ, আসল টিকা ছাড়া পুরো কর্মসূচির মহড়া চালানো হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও এটি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও গত বছরের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর চার রাজ্যের আটটি জেলায় চালানো হয় টিকাদান প্রক্রিয়ার মহড়া। সেই প্রস্তুতি-পর্ব থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের চারটি জায়গায় প্রধান প্রাথমিক টিকা কেন্দ্র থাকছে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৭টি কেন্দ্রে টিকা পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, ‘কারনাল, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতায় জিএমএসডি নামে চারটি প্রাথমিক টিকা কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ৩৭টি রাজ্য টিকা কেন্দ্র থাকছে। সেখানে টিকা রাখা হবে এবং তৃণমূল স্তরে বণ্টন করা হবে।’
তিনি জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা পাঠানোর দায়িত্ব থাকবে রাজ্যগুলোর ওপর। সেখানে আইস বক্সের মতো সরঞ্জামে উপকেন্দ্রে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে। কতগুলো টিকা রাখা হয়েছে, তাপমাত্রা কত আছে, সেই বিষয়টির ওপর ডিজিটাল উপায়ে নজর রাখা হবে।
পিসি/