।। প্রথম কলকাতা ।।
Sunil Chhetri: ভারতীয় ফুটবলে এক যুগের অবসান। শেষ হলো ১৯ বছরের এক অধ্যায়। যার সাক্ষী থাকল ৫৯ হাজারের যুবভারতী। গার্ড অফ অনার দিয়ে কিংবদন্তিকে বিদায় দিলো সতীর্থরা। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাঁধ মানলো না সুনীলের চোখের জল। ভারতের পোস্টের বয়কে হয়তো আগে কখনও কাঁদতে দেখেনি ভক্তরা। বিদায়ী কিংবদন্তির চোখের জলে ভাসলো বহু ইতিহাসের সাক্ষী যুবভারতীও। ২০০৫ সালের ১২ জুন ভারতীয় ফুটবলে যে চারাগাছটি পোঁতা হয়েছিল, ১৯ বছর পর সেই মহীরূহ হয়ে রেখে গেলেন এক বিরাট উত্তরাধিকার।
১৯ বছরের সফরে জাতীয় দলকে দিয়েছেন দু-হাত ভরে। একের পর এক ম্যাচে করে গেছেন গোল। গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। হয়েছেন ভারতীয় দলের পোস্টার বয়। কিন্তু কথায় আছে শুরু থাকলে শেষ হবে। তাই তো প্রাণের থেকেও প্রিয় নীল জার্সিটিকে তুলে রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। শুরুটা হয়েছিল এক জুনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে, আর শেষ হলো সেই জুনেই কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৫১টি ম্যাচ। করেছেন ৯৪টি গোল। জিতেছেন ১১টি ট্রফি। সুনীল থেকে গেলেন ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসের পাতায়।
এদিন ছেলের বিদায়ী ম্যাচের সাক্ষী থাকতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন সুনীলের বাবা খড়গ ছেত্রী ও মা সুশীলা ছেত্রী। ছেলেকে কোলে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সুনীলপত্নী সোনমও। ভারতীয় ফুটবলের একাধিক প্রাক্তন তারকাও উপস্থিত ছিলেন শেষবারের মতো কিংবদন্তির পায়ের জাদু দেখতে। কিন্তু শেষ ম্যাচে গোল এলো না সুনীলের পা থেকে। গোলশূন্য ভাবে ড্র করেই মাঠ ছাড়লো ভারতীয় দল। শেষ বাঁশি বাজার পরই মাঠে বসে পড়েন সুনীল। চোখের জলকে সামলানোর চেষ্টা করলেও পারলেন না। চোখের জল নিয়েই গোটা স্টেডিয়াম ঘুরে হাতজোড় করে কৃতজ্ঞতা জানালেন ভক্তদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম