Cyclone Biparjoy: টেনশনের কারণ ‘বিপর্যয়’, ভারত নাকি পাকিস্তান, কোথায় কতটা এফেক্ট? রাখুন বর্ষার ফ্রেশ আপডেট

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cyclone Biparjoy: প্রবল গরমে বিপর্যয়ই কি বয়ে আনবে স্বস্তির বর্ষা? ফুঁসছে আরব সাগর, শক্তি বাড়াচ্ছে ‘বিপর্যয়’। কতটা বিধ্বংসী হবে এই ঘূর্ণিঝড়? এগোচ্ছে কোনদিকে? তাণ্ডব চালাবে কোথায়? টার্গেট কি ভারত, নাকি তছনছ হবে পাকিস্তান? ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ে’ বাংলার কপালেও চিন্তার ভাঁজ। রিস্ক কতটা? ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে সতর্কতা জারি। ৮ থেকে ১০ই জুন, ভাইটাল টাইম। ভয় নয় সচেতন হন, বিপর্যয়ের আপডেট রাখুন। মোকার ক্ষতে প্রলেপ পড়তে না পড়তেই টেনশন বাড়াচ্ছে বিপর্যয়। আর এই বিপর্যয়ের কারণেই আগামী রবিবার থেকে রাজ্যের আবহাওয়া আমূল বদলে যেতে চলেছে। গরমে জেরবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য রয়েছে সুখবর। তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির খবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। বিপর্যয়ের কল্যাণে আগামী ১০ জুন থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে। বৃষ্টিতে ভিজবে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, সিকিম ও

কবে ঢুকবে বর্ষা?

আরব সাগরের বুকে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আরও বিলম্বিত হবে বর্ষার আগমন। আগামী দুদিন এর মধ্যে মধ্যেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকলেও, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে তার শক্তি অত্যন্ত কম থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিন আরব সাগরেই আটকে থাকবে মৌসুমি বায়ু। এর ফলে বাংলায় বর্ষা পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও ১-২ দিন সময় লাগতে পারে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। আপাতত শনিবার পর্যন্ত, এই হাঁসফাঁসে গরম চলবে, দহন জ্বালা অব্যাহত থাকবে।

৫ই জুন আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল গভীর নিম্নচাপ। যা শক্তি সঞ্চয় করে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আবহবিদদের আশঙ্কা, বিপর্যয় আরও তীব্রতর হবে, আরও শক্তি বাড়াবে। মোদ্দা কথা, সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম হবে বিপর্যয়, হবে বিধ্বংসী। কোথায় পড়বে প্রভাব? আবহাওয়া দফতর কি বলছে? আরব সাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে এগোলে ধ্বংসলীলা বাড়ার চান্স থাকছে। জানা যাচ্ছে ভারতের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষেই সমান্তরাল ভাবে উত্তরে গুজরাটের দিকে এগিয়ে যাবে বিপর্যয়। অতএব, গুজরাট রিস্ক জোনে রয়েছে। বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা গুজরাতের উপকূলবর্তী শহরগুলোতেই। তবে আইএমডি বলছে বিপর্যয় কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে। যদিও উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তবে, এই ঘূর্ণিঝড়টা পাকিস্তানের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতে।

বিপর্যয়ের জন্য অলরেডি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র উপকূলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুজরাতের সমস্ত বন্দরে সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যত ঘনিয়ে আসবে সেই অনুযায়ী সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হবে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গুজরাট সরকার জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। উপকূলীয় শহরগুলোতে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। সাগরে উঁচু ঢেউ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বন্যা পরিস্থিতি এবং অন্যান্য এফেক্টের বিষয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের।

আবহাওয়াবিদদের একাংশের অনুমান ৮-১০ জুন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে ক্রমেই ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়তে থাকবে। ১০ জুন ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পার করে যেতে পারে। এর গতিবেগ ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিকে হার মানাতে পারে। এমনকি, আমফান, ফণীর থেকেও বেশি গতিসম্পন্ন হতে পারে। অলরেডি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে কেরল, কর্নাটক, গোয়া উপকূলে। এই কদিন দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে থাকবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version