।। প্রথম কলকাতা।।
Acne Problem : একেবারে ছোট বয়স থেকে শিশুদের পুষ্টির জন্য নিয়মিত দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আবার হাড়কে মজবুত করতে দুধ যে কতটা উপকারী তা বারবার বলা হয় বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে। শুধুমাত্র শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে নয়, বাইরে থেকেও শরীরের যত্ন নিতে দুধ ব্যবহার করা হয়। রূপচর্চার কাজে ভীষণ ভাবে ব্যবহার রয়েছে দুধের ( Milk) । অনেকেই প্রতিনিয়ত ব্রণর সমস্যায় ভোগেন । কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না এই ব্রণ ( Acne) । এর নেপথ্যে কিন্তু থাকতে পারে দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এমনটা মনে করছেন খোদ চিকিৎসকরা।
দুধের তৈরি খাবার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে ?
যেখানে দুধের ভালো গুণ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি, সেখানে দুধের কারণে শরীরে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এমনটা জানলে কিছুটা আশ্চর্য হতেই হয়। আসল বিষয়টি হচ্ছে দুধের মধ্যে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ( Protein)। আর সেই প্রোটিন আমাদের শরীরে ইনসুলিন ( Insulin) ক্ষরণকে প্রভাবিত করতে পারে। চলুন জানা যাক দুগ্ধজাত খাবার কীভাবে ব্রণর কারণ হয়ে দাঁড়ায়:
১. দুধে থাকা প্রোটিনের কারণে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন ক্ষরণ হয়। ফলে প্রোল্যাক্টিন ,প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন্স এবং স্টেরয়েডের মতো হরমোন গুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় । যার কারণে ত্বকে সেবাম নিঃসরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর তা একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায় ত্বকে অবাঞ্ছিত ব্রণ সৃষ্টি হওয়ার।
২. গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেক সময় গরুকে খাবারের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। সেই দুধ খেলেও শরীরে তার নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে । বাজারজাত যেসকল দুধ বা দুধের তৈরি খাবার পাওয়া যায় সেগুলি সবই প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয় । আর এই প্রক্রিয়াকরণ খাবারগুলি খুব সহজে শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।
৩. অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন ক্ষরণ শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ এবং সংক্রমণকে বৃদ্ধি করতে পারে। এর কারণে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, চামড়া উঠতে শুরু করে , ব্রণ, এগজিমা , রোসাসিয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়।
৪. দুধ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি তরল হলেও সকলের কিন্তু দুধ সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকে না। তাদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয় । আর এই সমস্যাকে বলা হয় ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স ( Lactose Intolerance)। এই ধরনের সমস্যা রয়েছে এমন কোন ব্যক্তি যদি দুধ বা দুগ্ধজাত কোন খাবার খান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে শরীরে। অ্যালার্জি হতে পারে মুখে। লালচে দানা বেরোতে পারে । এমনকি ব্রণর সমস্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
তাই দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয় হওয়া সত্ত্বেও ত্বকের বেশ কিছু সমস্যাকে সক্রিয় গড়ে তুলতে পারে। এই কারণে দুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ( Side Effects) কথাও অবশ্যই মনে রাখা জরুরী। রোজকার খাবারে চিজ, দই , মাখন খাওয়ায় যদি কোন রকম সমস্যা বা অস্বাভাবিকতা দেখতে পাওয়া যায় ত্বকে, তাহলে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।