।। প্রথম কলকাতা ।।
Sridevi: শ্রীদেবী কেন শ্রীদেবী? তিনি কি কেবল রূপেই সেরা ছিলেন? নাকি গুণেও তিনি ছিলেন সবার সেরা? আজকের দিনে তিনি হয়ত সশরীরে আমাদের সাথে নেই, কিন্তু তার যে ক্রেজ সেটা কি এমনি এমনি? তাহলে বলতেই হয় শ্রীদেবী একটা রহস্য। জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি একটা ছবি করেছিলেন, যেখানে তিনি রজনীকান্তের চেয়েও দ্বিগুণ পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। চমকে দেবে সেই টাকার অঙ্কটাও।
হ্যাঁ মাত্র ১৩ বছর বয়সেই রজনীকান্তের মায়ের চরিত্রে দেখা গেছিল তাকে। চমকে উঠলেন? চমকের তো এখনও বাকি আছে। শ্রীদেবী এমন এক অভিনেত্রী যিনি ‘জুরাসিক পার্ক’র মত ছবিও রিজেক্ট করেছিলেন। ভাবতে পারছেন তার দাপট কতটা? এই গল্প শুনলে বুঝতে পারবেন যে, ঠিক কতটা ভার্সাটাইল অভিনেত্রী ছিলেন শ্রীদেবী।
কেরিয়ারের একদম প্রথম দিকের এই ছবিটির নাম ‘মুন্দ্রু মুদিচু’। এটি একটি তামিল রোম্যান্টিক থ্রিলার। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। ১৩ বছরের শ্রীদেবীকে তখন বলা হয় এক ২৫ বছরের যুবতীর ভূমিকায় অভিনয় করতে। যেখানে তিনি এক বৃদ্ধ ব্যক্তির স্ত্রী এবং সুপারস্টার রজনীকান্তের মা। বুঝতেই পারছেন যে, চরিত্রের গুরুত্ব ঠিক কতটা!
পিছিয়ে তো তিনি যাননিই, উল্টে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। কেউ ভাবতেই পারেননি যে, এইটুকু একটা বাচ্চা মেয়ে এমন দূর্দান্ত অভিনয় করতে পারবে। তাও আবার তখন, যেখানে সামনে কমল হাসান, রজনীকান্তের মত তাবড় তাবড় অভিনেতা দাঁড়িয়ে।
কিন্তু তিনি তো শ্রীদেবী। অসাধ্য সাধন করাই তো তার সহজাত ক্ষমতা। এই ছবিটির জন্যই রজনীকান্তের চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, তৎকালীন দিনে শ্রীদেবী নিয়েছিলেন পুরো পাঁচ হাজার টাকা। যেখানে রজনীকান্তের পারিশ্রমিক ছিল ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। আজকের সাপেক্ষে টাকার অঙ্কটা হয়ত কম। কিন্তু তখনকার দিনে এই টাকার মূল্য কিন্তু অনেক।
বলাই বাহুল্য যে, ছবিটি সুপারহিট হয়েছিল। আর সেই সাথে নজর কেড়েছিলেন খুদে শ্রীদেবী। এরপরই শিশুশিল্পী হিসেবে ছড়িয়ে যায় শ্রীদেবীর নাম। রজনীকান্ত আর শ্রীদেবীর বন্ধুত্বটাও শুরু হয় এখান থেকেই। দারুণ মজবুত ছিল তাদের বন্ধুত্ব। শোনা যায় রজনী একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে সময় নায়কের জন্য নাকি উপোসও করেন শ্রীদেবী। পরে নয় নয় করে প্রায় ২০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তারা।
শুধু কি তাই নাকি? শ্রীদেবী ছিলেন প্রথম অভিনেত্রী যিনি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এক কোটি টাকা ডিমান্ড করেছিলেন। শুধু যে দাবিই করেছিলেন তাই নয়। সেই টাকা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার। তাহলেই বুঝুন যে, শ্রীদেবীর ডিমান্ড কী ছিল?
অবশ্য যিনি ‘জুরাসিক পার্ক’র মত একটা হিট ছবির অফার ফিরিয়ে দিতে পারেন তার কাছে এ তো কিছুইনা। শোনা যায়, ছবির পরিচালক স্পিলবার্গ এই ছবির জন্য একটি ছোট্ট চরিত্রের অফার দিয়েছিলেন চাঁদনি-কে। তবে নায়িকার মনে হয়েছিল, তৎকালীন সময়ে তার যে খ্যাতি তাতে এই ছোট্ট ভূমিকা তার জন্য নয়। আর সেই কারণেই এক কথায় না করেছিলেন ‘জুরাসিক পার্ক’-এও। হ্যাঁ, এটাই ছিলেন আমাদের চাঁদনি। আজ তিনি হয়ত সশরীরে আমাদের মধ্যে নেই। তবে তিনি বেঁচে রয়েছেন তাঁর কাজের মধ্যে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম