।। প্রথম কলকাতা।।
Pigmentation: মুখের বিভিন্ন অংশে একই রকমের স্কিন টোন ( Skin Tone) না থাকাকে হাইপার পিগমেন্টেশন বলা হয় । দেখা যায় হঠাৎ করেই ত্বকের একটি অংশ ফ্যাকাশে সাদা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন অংশ অতিরিক্ত কালচে হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার সম্মুখীন কম বেশি প্রত্যেক মহিলাই হয়ে থাকেন। শুধুমাত্র মুখের ত্বকেই নয়, শরীরের যে কোন অংশে এই হাইপার পিগমেন্টেশন ( Hyper Pigmentation) দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই ধরনের দাগ ছোপ নিয়ে বাইরে বেরোনো যথেষ্ট অস্বস্তিকর। তাই হাইপার পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন , এই সমস্যার গোড়া থেকে যদি সমাধান না করা হয় তাহলে পরবর্তীকালে গিয়ে আরও বৃহৎ আকার ধারণ করতে পারে । মূলত দেহে যখন ভিটামিনের ( Vitamin) অভাব দেখা দেয় তখনই হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যা হয়। ত্বককে পুষ্টি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন এ , সি এবং বি কমপ্লেক্স । এগুলি সঠিক পরিমাণে না পাওয়া গেলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায়। আবার যাদের পেটের গন্ডগোল রয়েছে তাঁরাও এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন । আসলে হাইপার পিগমেন্টেশন হয় মেলানিন বেড়ে অথবা কমে গেলে। মেলানিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক কালো হয়ে যায় এবং মেলানিনের মাত্রা কমে গেলে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসেনশিয়াল ওয়েল ( Essential Oil) ব্যবহার করা যেতে পারে । এই ধরনের অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় স্কিন টোন একেবারে সমান থাকে। তবে কী ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে হবে এটা অবশ্যই জানা উচিত। প্রথমত হলুদ তেল। হলুদ এমনিতেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক । এটি ত্বকের যে কোন সমস্যা থেকে শুরু করে চুলের জন্য ব্যবহার করা হয় । কাজেই হলুদ তেল প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েকফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে এই হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও ব্যবহার করা যেতে পারে লেমন এসেনশিয়াল অয়েল । তালিকায় রয়েছে একটি টি ট্রি ওয়েল। এই ধরনের এসেনশিয়াল ওয়েল গুলি ত্বকের দাগছোপ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। তবে এসেনশিয়াল ওয়েল যারা সরাসরি মুখে ব্যবহার করতে পারেন না তাঁরা অল্প নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়লের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন।