First woman medical officer in Siachen: সিয়াচেনে ইন্ডিয়ান আর্মি পেল মায়ের ছোঁয়া! দূর্ধর্ষ গীতিকা কৌলকে চিনে নিন

।। প্রথম কলকাতা ।।

First woman medical officer in Siachen: দুর্গম সিয়াচেনে থাকা ইন্ডিয়ান আর্মি পাচ্ছে মায়ের ছায়া। ক্যাপ্টেন গীতিকা কউল পা রাখছেন সিয়াচেনের দুর্ধর্ষ রণক্ষেত্রে। ইনিই কি প্রথম মহিলা অফিসার? যিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন হলেন। গীতিকা কউল আগলে রাখবেন ভারতীয় সেনার জওয়ানদের। সিয়াচেন, এই ভয়ঙ্কর এলাকার নাম কে জানেনা! এই সিয়াচেনে কতটা দুর্বিষহ হয় সেনাদের জীবন সেটাও অনেকেরই জানা এখানে সৈন্যরা যে প্রতিপক্ষের গুলি কিংবা মর্টারের আঘাতে আঘাতে মারা পড়ছে তা নয়। সিয়াচেনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হচ্ছে আবহাওয়া। আর সেখানেই এবার এলেন প্রথম মহিলা মেডিকেল অফিসার গীতিকা কৌলে। আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মহিলারা কোন জায়গাতেই পিছিয়ে নেই।

খুব ছোট্ট খবর কিন্তু গুরুত্ব মারাত্মক ভারতের জন্য ভারতবাসীর জন্য। কারণ এই অফিসারের ওপর রয়েছে সেনাদের বিপদ থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব। লেহতে মোতায়েন ভারতীয় সেনার শাখা ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের তরফ থেকেই ঘোষণা করা হয় দীর্ঘদিনের কঠিন ট্রেনিংয়ের পর স্লো লেপার্ড ব্রিগেড থেকে ক্যাপ্টেন গীতিকা কৌলকে প্রথম মহিলা মেডিকেল অফিসার হিসেবে সিয়াচেনে নিযুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু তিনিই কি প্রথম মহিলা অফিসার যার ডিউটি পড়ল সিয়াচেনের মতো ভয়ঙ্কর এলাকায়? তথ্য বলছে না এই তালিকা প্রথমেই রয়েছেন ক্যাপ্টেন শিবা চৌহান। সিয়াচেনে মোতায়েন হওয়ার আগে অন্য সেনা অফিসারদের মতো শিবাকেও এক মাসের কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। সঠিক প্রশিক্ষণের জন্য শিবাকে এক মাসের জন্য সিয়াচেন ব্যাটল স্কুলে রাখা হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণের মধ্যে বরফের প্রাচীরে ওঠা, তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালানো এবং কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার মহড়া অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই ব্যাটেল স্কুল থেকেই পাশ করেছেন গীতিকা কৌলও।

শীতকালে সিয়াচেনের তাপমাত্রা মাইনাস পঞ্চাশ বা ষাট ডিগ্রিতেও নেমে যায়। সিয়াচেনে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর দাবি সেখানে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তীব্র ঠাণ্ডায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে হয়তো এক পর্যায়ে হাতের আঙুলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অকেজো হয়ে যায়। অনেক সময় কেটেও ফেলতে হয়।আর ঠিক সেজন্যই আগে দেওয়া হয় কঠোর প্রশিক্ষণ। আর প্রশিক্ষণ শেষে একজন সৈনিককে তাঁর ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে রয়েছে স্লিপিং ব্যাগ, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কেরোসিন তেল, বরফ কাটার যন্ত্র, হাত ও পায়ের মোজা ইত্যাদি। পুরো ব্যাগের ওজন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি। ক্যাপ্টেন গীতিকা কৌলে দায়িত্বই হবে সেনা জওয়ানদের এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যালি গাইড করার। সেই জন্যই তাঁকে মোতায়েন করা হয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version