ফোন করবেন না বারণ করে দিলেন শুভেন্দু, ফোন ট্যাপ হচ্ছে, কী করতে হবে এবার?

।। প্রথম কলকাতা ।।
রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বহুবার বিরোধী নেতানেত্রীরা অতীতে অভিযোগ করেছেন ফোন ট্যাপ করার। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই অভিযোগ আবার শোনা গেল। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী শনিবার এই অভিযোগ তুললেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের দাড়িবেরিয়ায় সভা করেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই মঞ্চ থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, আমাকে ফোন করবেন না। ফোনে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। ভাইপোর পুলিশ ফোন ট্যাপ করছে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করবেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যাব। কটা মাস অপেক্ষা করুন। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি চালু হোক রাজ্যে। তখন দেখাব। আমি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। আমাকে কেউ আটকাতে পারবেন না। বামেরা যখন ২৩৫ আসন পেয়েছিল, তখনও আমাকে কেউ আটকাতে পারেনি। মোটর বাইক নিয়ে আসবেন। পিছনে বসে যেখানে বলবেন চলে যাব। প্রতিটা এলাকা আমার হাতের তালুর মতো চেনা। এভাবেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি।
উল্লেখ্য এই প্রথম নয়, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। ফোনে শুভেন্দু অধিকারী জমি আন্দোলনে যুক্ত মানুষজনকে কি নির্দেশ দিচ্ছেন, সেটা টেলিকাস্ট হয়েছিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়। তারপর কেটে গিয়েছে এতগুলি বছর। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। আর তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন। বিষয়টি নিয়ে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর তথা রাজ্য রাজনীতিতে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলকে তিনিই
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ২০০১ সালে তৃণমূলের স্লোগান ছিল হয় এবার, নয় নেভার। তারপর তৃণমূল হেরে যায়। দেখা যায় এই জেলায় তৃণমূলের পতাকা লাগানোর জন্য খুঁটি পোঁতার লোক নেই। তখন আমি এই জেলায় তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলাম। তখন বিভিন্ন এলাকায় ছুটে গিয়েছি। আস্তে আস্তে দল শক্ত জায়গায় এসেছিল। এরপরই শুভেন্দু বলেন, কেন তৃণমূল ছাড়লাম জানেন? ওটা দল নয়, পিসি, ভাইপোর কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই কর্মচারী ছিলাম। মেদিনীপুরের মানুষ কর্মচারী হয় না। তাই দল ছেড়েছি। উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলে নাম লিখিয়েছি। বিশ্বের বৃহত্তম দল আমাকে আদর করে ডেকে নিয়েছে। শনিবার ফের তিনি তোলাবাজ ভাইপো বলে নিশানা করেছেন তৃণমূলের এক অন্যতম সর্বোচ্চ নেতাকে। সেইসঙ্গে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে নিশানা করে বলেন,” বামপন্থার বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল না। আমার লড়াই ছিল লক্ষণ শেঠদের মতো মানুষদের বিরুদ্ধে। এখন লড়ছি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে”।