পটাশপুরে কুণালের নিশানায় শোভন, বৈশাখী, শুভেন্দু,মুকুল

।। শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত ।।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সভা থেকে বল্গাহীন ভাষায় তাঁরই প্রাক্তন সহযোদ্ধা শোভন চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, “শোভন চট্টোপাধ্যায় আঁচল ছেড়ে বেরোতে পারেন না। বৈশাখী বলেছেন শোভনকে ঘুষ নিতে তিনি দেখেননি। ঘুষতো বেডরুমে নেননি, চেম্বারে নিয়েছেন শোভন।” এরপর কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে বলেন, “কোথা থেকে হারবে ঠিক করে নাও শুভেন্দু অধিকারী ( Subhendu Adhikari) । এমন রসগোল্লা খাওয়াব বুঝতে পারবে কোথাকার। বাইরের রাজ্য থেকে মিটিং-মিছিল করতে এলে এবার রসগোল্লা দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।”
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আমায় মানহানির মামলার নোটিশ পাঠিয়েছিল। মামলা লড়তে দেরি হওয়ায় জরিমানা দিতে হয়েছিল। আমার বন্দি অবস্থার সুযোগ নিয়ে আমার পরিবারকে শেষ করতে চেয়েছিল। এবার সুদীপ্ত সেনের বয়ান নিয়ে সেই মামলা আমি লড়ব।” কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, “এখন তুমি ভাইপো শোনাচ্ছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ভাইপো হলে শুভেন্দু অধিকারী কাঁথির ভাইপো।” এদিন কুণাল ঘোষ মুকুল রায়কেও আক্রমণ করেন।
আরো পড়ুন : প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন শুভেন্দু?
বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংকে ইডির গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, “কে ডি সিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন মুকুল রায়। আদালতের কাছে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এই বয়ান দিয়েছেন। ৫০ লক্ষ ড্রাফটের নামে একজন নগদ নিয়েছিলেন। তাঁর বিচার হবে না? শুধু আমাদের দিকে আঙ্গুল উঠবে। বাংলার ভোটাধিকার ছেড়েছেন মুকুল রায়। পালিয়ে গেছেন।” কুণাল ঘোষ এদিন দাবি করেন, “২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২২৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।” পটাশপুরের তৃণমূলের এদিনের সভা থেকে কুণাল ঘোষের বক্তব্য ২০১১- র বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হয়ে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আক্রমণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।