।। প্রথম কলকাতা ।।
বিতর্ক আর রোনাল্ডো যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন মরসুমে প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে এসে কোচের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে পড়েন পর্তুগিজ সুপারস্টার। প্রকাশ্যে ক্লাব ও কোচের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ায় চুক্তি বাতিল হয় রোনাল্ডোর। তারপর এভার্টনের এক সমর্থকের মোবাইল ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁকে দুই ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানো হয়। যার জন্য আল নাসেরের হয়ে এখনও অভিষেক হয়নি রোনাল্ডোর।
এমনকি জাতীয় দলেও কোচের সঙ্গেও বিতর্কে জড়ান রোনাল্ডো। যার জন্য কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি পাঁচ ব্যালন ডি অ’র জয়ী তারকার। এবার তিনি সমস্যায় পড়েছেন সৌদি আরবে খেলতে এসে। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের সঙ্গে রেকর্ড ১৭৭ মিলিয়ন পাউন্ডে সই করেছেন রোনাল্ডো। মরসুল পার্কে ৩০ হাজার দর্শকের সামনে রাজকীয়ভাবে স্বাগত জানানো হয় রোনাল্ডোকে।
সৌদি আরবে পা রেখেই বেজায় ফাঁপরে পড়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। সেই দেশের আইন ভেঙেছেন তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী সে দেশে বিবাহ-বহির্ভূত কোনও সম্পর্ককে অবৈধ ও বেআইনি হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদে রয়েছেন রোনাল্ডো। সেখান বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ সহ তাঁর সন্তানরা রয়েছেন। রোনাল্ডোর সঙ্গে বিয়ে হয়নি জর্জিনার। তবে, তাঁদের সন্তান রয়েছে। বিয়ে না করে এক ছাদের তলায় একসঙ্গে থাকা সৌদি আরবের আইনে অপরাধ। সে দেশে সমপ্রেম, লিভ-ইনে থাকা, বিয়ে না করে সন্তানের জন্মদান সবকিছুই অবৈধ হিসেবে ধরা হয়। এরজন্য কঠিন শাস্তিও রয়েছে। ঠিক এই জায়গাতেই ফেঁসে গিয়েছেন রোনাল্ডো।
খোদ সৌদি আরবেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকেই বলছেন রোনাল্ডো কী চুক্তি পত্রে সই করার আগে এই ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার কথা বলেছিলেন? নাকি রোনাল্ডোকেও আইনের জালে পড়তে হচ্ছে। তবে সৌদি আরবের আইনজীবীদের মতে এ ব্যাপারে কোনও সমস্যা হবে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সৌদির আইনে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধ হলেও সেটা নিজেদের দেশের জনগণের জন্য। বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। তাই আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রোনাল্ডো ভক্তরা।