।। প্রথম কলকাতা ।।
বিশ্ব চালাবে কারা? পুতিন-শি মিলে কোন নতুন প্যাঁচ কষছেন? গোপনে বড় ডিল? চীনে কী ঘটে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব টেরও পাচ্ছে না। ১০ বছরের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এ আটকে ভারতের চোখ। ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ বড় সুযোগ দিল পুতিনকে। একা হাতে সামাল দিতে পারবেন তো জো বাইডেন? ঝোপ বুঝে কোপ মারতেই চীনে ঢুকে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কী ঘটাতে যাচ্ছে শি-পুতিন জোট? আন্দাজ আছে যুক্তরাষ্ট্রের? ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এর ১০ বছর পূর্তির ইনভিটেশনে সাড়া দেওয়া শুধুই অজুহাত নয় তো? এই সুযোগেই তলে তলে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একাট্টা হতে পারে দুই দেশ মনে করছেন কূটনীতিকরা
তাই পুরো বিষয়টার দিকে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার সাথে সাথে ভারতের চোখও কিন্তু সরছেনা। কারণ, দশ বছর পূর্ণ হয়েছে শি এর ড্রিম প্রজেক্ট ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এর সেই উপলক্ষে বেজিংয়ে একটা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে আমন্ত্রিত ১৩০টি দেশ। শি এর ডাকে রাশিয়া থেকে ছুটে গেছেন পুতিন ও তাই, চীনে কী ঘটছে, সেটা ভারতের জন্যেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভারত বরাবরই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। ভারত নিজে মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ করিডোর এর একটা পার্ট হয়েছে। যেটাকে অনেকেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোডের বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। অতএব, ভারতকে চাপে রাখতে বেজিয়ে অনুষ্ঠিত বেল্ট এন্ড রোড সামিটে বড় কিছু ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মনে করিয়ে দিই, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এর একটা অংশ গেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। তাই বেজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড সামিটে কড়া নজর নয়াদিল্লির। তবে পুতিন শি এক হওয়াতে এখানে অনেকগুলো সমীকরণ কাজ করছে। পশ্চিমা বিরোধী জোট তৈরিই নয়, ইউক্রেন ইস্যুতেও শি পুতিন জোট যে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়াবে এটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে পুতিন-শি এর মধ্যে আলোচনা হলেও এখন মধ্যপ্রাচ্যের হামাস বনাম ইজরায়লের লড়াইয়ে ব্যস্ত আমেরিকা। ইহুদি দেশটার পাশে দাঁড়িয়ে সামরিক সাহায্য করছে ওয়াশিংটন। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুতিনের চীনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ! কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে হোয়াইট হাউস। অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চেয়ে পুতিন বড় চাল চালতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাছাড়া, পুতিনের এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। দ্বিপাক্ষিক, সামরিক এবং অবশ্যই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও দুটো দেশ আরো বেশি কাছে আসবে। সবটা কী জানতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র? নাকি গোটা বিশ্বের আড়ালেই ঘটতে যাচ্ছে বড় কিছু?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম