।। প্রথম কলকাতা ।।
Fasting Rules: সনাতন ধর্মে বিভিন্ন পুজো উপলক্ষ্যে উপোস রাখার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। অনেকেই মনে করেন কোন নির্দিষ্ট দেবদেবীর পুজো করার আগে সারাদিন উপোস (Fasting) থাকলে জীবনে মানসিক শান্তি আসে। সুখ সমৃদ্ধি লাভ করতে পারেন সেই ব্যাক্তি। এছাড়া উপোস করলে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকার সুযোগ মেলে। হিন্দু ধর্মে এমনিতেই বহু দেব-দেবীর পুজো প্রচলিত রয়েছে। আর এই পুজো গুলিতে বেশিরভাগই উপোস থেকে তারপর আয়োজন করা হয়। তাই পুজোর সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে উপোসের।
শুধু মাত্র ধর্মীয় মতে যে উপোস করার গুরুত্ব রয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানও মাঝেমধ্যে উপোস করাকে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলেই মনে করে। উপোস মানে সারাদিন শুধুমাত্র জল খেয়ে থাকা। অনেকে আবার জলের সঙ্গে ফল খান। উপোস করলে বাদবাকি আর কোনরকম খাবার সারাদিনে গ্রহণ করতে পারেন না ওই ব্যক্তি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ভাষায়, ওই ব্যক্তির পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এছাড়াও যারা স্থূলতা (Obesity) এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মাঝে মাঝে উপবাস করা উচিত। এতে বরং ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।
হিন্দু ধর্মে পুজো-পার্বণে উপবাস করার নিয়ম কী কী?
- যিনি উপবাস করছেন তাকে শুধুমাত্র জল এবং ফলেই সারাদিন কাটাতে হবে । তবেই সেই উপবাস পূর্ণ হয়েছে বলে মনে করা হবে।
- উপবাস করার পর সংশ্লিষ্ট দেবদেবীর পুজোর আয়োজন করার জন্য শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করতে হবে।
- হিন্দু ধর্ম মতে যিনি উপবাস করেছেন তিনি সেই দিনে কোনরকম মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। উপবাস করলে অবশ্যই সব সময় সত্য কথা বলা উচিত।
- যেদিন উপবাস করা হয় সেই দিন গরীবদের সাধ্যমত কিছু দান করলে ভগবান প্রসন্ন হন।
- উপবাসের দিনে ভগবানের মন্ত্র জপ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও উপবাস ভাঙা হয় যখন সেই দেবদেবীর পুজো সম্পূর্ন হয়। সেক্ষেত্রে উপবাস ভেঙেই আপনি যা-তা খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না। আপনাকে খেতে হবে সাত্ত্বিক খাদ্য।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন সঠিকভাবে উপোস রেখে যদি ভগবানের আরাধনা করা যায় তাহলে সকল প্রকার কষ্ট এবং পাপ থেকে মুক্তির পাওয়ার পথ মেলে পবিত্র হয় মন মস্তিষ্ক এবং শরীর । শাস্ত্রেও উপোস সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য দেওয়া রয়েছে, যা সুখ- শান্তির দিকেই ইঙ্গিত করে । তাই হিন্দু ধর্মে বহু পুজোয় উপবাস করার নিয়ম রয়েছে। অনেকে বাড়ির প্রতিদিনের পুজোতেও উপবাস করেন। তবে তেমন ভাবে নয় । তাঁরা ঘুম থেকে ওঠার পর প্রত্যাহিক কাজকর্ম সেরে স্নান করে আগেভাগেই বাড়ি ঠাকুরের পুজো সেরে নেন। আর ততক্ষণ কোন রকম খাবার গ্রহণ করেন না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উপবাসকে খানিকটা ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পথ বলেও মনে করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম