বাংলাদেশের প্রফিট না লস ? চীন আমেরিকার এক হওয়ার চান্স কতটা। ফর্মুলা জিংপিংয়ের হাতেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশের বড় লস? জিংপিংয়ের চাল ডাহা ফেইল। চীন আমেরিকার মাঝে বসলো বিশালাকার পাঁচিল। বরফ গলা এতো সহজ নয়। ওয়াশিংটন বেইজিং এক হতে কতটা সময় লাগবে? জানিয়ে দিল চীন। কমন ইন্টারেস্টের থেকে জটিলতার পাল্লা ভারী? এখনও শি-বাইডেন মিলে যাওয়ার চান্স ১০০%। অধীর আগ্রহে মুখিয়ে ওপার বাংলা? ১৮০° অ্যাঙ্গেলে ঘুরে গিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চেয়ে যা বলেছিলেন তাতে আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়ে গেছিল। কিন্তু, সেই গুড়ে বালি। একযোগে বিশ্ব আঙিনায় থাকা নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ফেইলিয়ার। চীন আমেরিকা বিস্ফোরক চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই।

যখন চীনের বিদেশমন্ত্রীর আমেরিকা সফর ঘিরে কূটনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু, যখন মনে করা হচ্ছিল এবার হয়তো দুদেশের সম্পর্কে জমে থাকা বরফ গলতে পারে, তখনই মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনা বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে স্থিতাবস্থা আনতে এখনও গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সোজা কথা এখনই আমেরিকা চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না। বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটা ইস্যুতে যেমন দুটো দেশের কমন ইন্টারেস্ট রয়েছে তেমনি বেশ কিছু বড় জটিলতাও রয়েছে। তাই চীন আমেরিকাকে হাতে হাত মেলাতে হলে আগে জটিলতা গুলোকে দূর করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। আর, এই একই কথা বলছে চীন আমেরিকাও।

দুদেশের মধ্যে জটিলতা আছে, আমাদের এক সঙ্গে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। তাই দুই দেশের মধ্যে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। শুধু কথা বললেই হবে না, রীতিমতো গভীর স্তরে যেতে হবে। যার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা আসবে, সম্পর্কের উন্নতি হবে, মার্কিন বিদেশ সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর জানিয়েছেন চীনের বিদেশমন্ত্রী। এতেই সম্মতি রয়েছে ব্লিঙ্কেনের ও কিন্তু যেখান থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের প্রফিট নাকি লস সেটা এখন থেকেই প্রেডিক্ট করা কঠিন। কারণ চীন আমেরিকার সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার এখনও কিছুটা চান্স রয়েছে। বলে রাখা ভালো, চীনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরের পর আরও জোরালো হচ্ছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমেরিকা সফরের সম্ভাবনা।

চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স সূত্রে খবর মিলেছিল, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছে, নভেম্বরে সানফ্রান্সিসপকোতে বৈঠকে বসতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো পারেন বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেক্ষেত্রে দু’দেশের মাঝে থাকা প্রাচীর ভেঙে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় কিনা, বরফ গলে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষাতেই ওই বৈঠকে নজর কার্যত গোটা বিশ্বের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version