বাংলার উন্নয়নের জন্য একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি সোহমের

।। সুদীপা সরকার ।।
চারিদিকে যেভাবে বাজে ছায়া পড়েছে তা মানুষের মনে নানানভাবে প্রভাব ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি (bjp)। সেই কালো ছায়ার কোনো প্রভাবই পড়বে না। সেই কারণে মালদা জেলায় আসা।বাংলার জনগণের পাশে বাংলার উন্নয়নের জন্য একজন নেত্রী রয়েছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মালদা থেকে এমনই দাবি জানালেন অভিনেতা তথা তৃণমূল নেতা সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty )। আজ মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ও জয় হিন্দ বাহিনীর উত্তরসূরি বিশাল মিছিল ও জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।
সেই জনসভায় যোগ দেবেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে মালদা ট্রেন স্টেশনে তৃণমূল কর্মীদের ভিড় জমে যায়।কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এর বিরুদ্ধে শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও শেষে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে মালদা শহরের অতুল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায়। পাখির চোখ বিধানসভার নির্বাচন। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষ। গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
আরো পড়ুন :মানস ভুঁইয়ার খাস তালুকে আজ শুভেন্দুর পরীক্ষা
তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আসনগুলি যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল।ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কোচবিহারে যুব তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মালদা খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে।তারপর শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন মৌসম বেনজির নূর।
কিন্তু ও মৌসম বেনজির নূর যার হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি এখন বিজেপির লড়াকু নেতা। যদিও মৌসম নুর বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে তিনি চলবেন।শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতারা আছেন তারা সবাই বুঝে ঝাঁপ মারেন। এরকম নেতা নেত্রীর কোন প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের কোন অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। এখন দেখার অভিনেতা তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী আজ মালদা জেলার যুব তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারে।