মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষ মারার পরিকল্পনা করছেন, কেন এই অভিযোগ তুললেন আব্বাস সিদ্দিকি?

।। ময়ুখ বসু ।।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষ মারার পরিকল্পনা করছেন। ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে শেষ নির্বাচনী প্রচারে নিজের ভাই নৌশাদ সিদ্দিকির হয়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রচার সভা থেকে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকি।
তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপিকে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ১৯৯৮ সালে তিনি বিজেপির হাত ধরেছিলেন। সেই সময় বিজেপির সঙ্গে একসঙ্গে সভাও করেছিলেন।
১৯৯৯ সালে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় রেলমন্ত্রী হন। আবার ২০০২ সালেও তিনি কেন্দ্রে মন্ত্রী হন। অথচ সেই বছরেই গুজরাত দাঙ্গা হয়। কিন্তু সেই দাঙ্গা নিয়ে সেই সময় টুঁ শব্দটি করেননি তিনি। আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, সেই সময় দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে অভিযোগের আঙুল ওঠে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। কিন্তু এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেই সময় নরেন্দ্র মোদীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন আসল বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে ভোট ভাগ না হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি আব্বাস সিদ্দিকিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, বিজেপির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন আব্বাস সিদ্দিকি।
তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা তিনি নিজে একটা সময় বিজেপির হাত ধরে সুবিধা নিয়েছিলেন। আব্বাস বলেন, কলকাতা বিমান বন্দরের নাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে। অথচ সেই নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো বিজেপি।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতেও সমর্থন জুগিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আব্বাস বলেন, এবারে ভোটের প্রচারণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকাতে হাতা খুন্তি নিয়ে বেরিয়ে আসতে বলেছেন। আর সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে হাতা খুন্তি হাতে নিয়ে সেই কাজ করলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাবে। আর গুলি চললে মানুষ মরবেই। যা নিয়ে আবার রাজনীতি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় মানুষ মারার পরিকল্পনা করছেন বলেও সাফ অভিযোগ তোলেন তিনি।
পিসিসি