।। প্রথম কলকাতা ।।
Chinese Apple Jujube: ঠান্ডার মরশুমে সরস্বতী পুজোর ঠিক আগে এই সময়টিতে বাজারে ভীষণভাবে চাহিদা থাকে কুলের। কারণ শীতকালের অন্যতম ফলগুলির মধ্যে একটি হল কুল (Indian Plum)। আগে যদিও কুল বলতে চোখের সামনে ভেসে উঠতো সেই সব দেশি ছোট ছোট কুলগুলির ছবি। যেগুলি কাঁচা অবস্থায় খেতে টক মিষ্টি। এছাড়াও বাজারে পাওয়া যায় নারকেল কুল। এই কুল গুলির আকার দেশি কুলের থেকে বেশ খানিকটা বড়। আর এইগুলির স্বাদ টক নয় বরং খেতে বেশ মিষ্টি এককথায় সুস্বাদু ফল।
কিন্তু বর্তমানে কুল প্রজাতির মধ্যে আরও এক ধরনের কুলের চাষ কৃষকদেরকে লাভের মুখ দেখাচ্ছে। সেই কুলগুলি দেখতে একেবারে আপেলের মতো। কারণ কিছুটা বড় হবার পরেই সেই কুলগুলি লাল রং ধারণ করছে। যা দূর থেকে দেখে একেবারে পরিণত আপেল মনে হয়। ধরনের কুলগুলিকে চাইনিজ আপেল কুল (Chinese Apple Jujube) বলা হয়ে থাকে। আর স্থানীয় ভাষায় একে শুধু আপেল কুল বলা হয়। খেতে বেশ মিষ্টি এবং বাজারে বিকোচ্ছে দেদার।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বর্তমানে এই কুল চাষ করা হয়েছে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘায়। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষি আধিকারিক ড: বিনয় রায় প্রামানিক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শীতকালে সবজি চাষ করে কৃষকরা খুব বেশি লাভবান হতে পারেননি। তাদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তাঁরা কুল চাষের দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর নারকেল কুল নয় এবার চাষ করা হয়েছে আপেল কুল। এই ধরনের কুল গাছের চারা সরকারি প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে চাষ করা হয় আপেল কুল ?
এই ধরনের কুল চাষ করার জন্য ঊর্বর জমির প্রয়োজন হয়। কিন্তু খরচ অনেক কম । বর্ষার পর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আপেল কুল গাছের চারা বোনা হয়ে থাকে। বিঘায় ২০০ টির বেশি চারা গাছ লাগানো যায়। ঘন ঘন সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এপ্রিলের দিকে ফলন তোলার পর গাছগুলির উচ্চতা কিছুটা ছেঁটে দিতে হয়। যেকোনো ধরনের পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হয় নিয়মিত। বছরে দুবার এই গাছ থেকে ফলন পাওয়া যায়। দশ মাসের মধ্যে চারাগুলিও পরিণত হয় এবং ফল উৎপাদন শুরু হয়। বছরে দুবার এই আপেল কুল বিক্রি করে কৃষক বন্ধুরা বেশ ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম