রুদ্রনীলের চোখে ফিরে দেখা

।। প্রথম কলকাতা ।।
আজ বিশের শেষ। রাত পোহালেই ২১। বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলে নতুন বছরে প্রবেশ করবো আমরা। কে জানতো বিশের বছর এমন আতঙ্কে ভরা। যেখানে জীবন মরণের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকাটাই যে জরুরি হয়ে উঠবে সেটাই যেন গোটা বছর ধরে উপলব্ধি করলো গোটা বিশ্বের মানুষ। হারালো অনেক কিছুই। এমন সব হারানোর স্মৃতি উঠে এলো অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের কবিতার মধ্যে দিয়ে। সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এক কবিতা। যেখানে রয়েছে বিশের হতাশা এবং তার কল্পনায় শেষ দিনে মিশে গেলো আগামী আর ফ্ল্যাশবাক।
তার কবিতায় উঠে এসেছে বিশে ঘটা এক এক ঘটনার কথা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু থেকে শুরু করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিয়ে শেষ। উঠে এলো অম্ফানের কথা যা তছনছ করে দিয়েছে যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখা গরম ভাতের থালা। ব্যখ্যা করেছেন বিশের নিষ্ঠুরতার কথা। সাধারণ মানুষের হাসপাতালে বেড না পাওয়ার কথা। মনেকরাচ্ছেন ঘরের কোনে মুখ লুকিয়ে থাকার দিন টিভি খুললেই দিনরাত্রি মৃতদের সংখ্যা গোনার দিন। চাকরি হারানো মাইনে কাটার দিন গুলো। সাথে সেই সব দিনের কথা যখন মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাড়াচ্ছে চাকরিহারা সংসারে অভাব। সেই সব স্মৃতিকে উস্কে মনে করাচ্ছেন সেসব দিনের কথা।
তাই আজ সেসব দিনকে ভুলে এগিয়ে যাওয়ার দিন। বলেছেন দেখতে দেখতে পার করেছো বন্দি কয়েক মাস। যেন ২১ এলেই মিটিয়ে নেবো হারিয়ে যাওয়া আস। জানি আজকে সবার ইচ্ছে গুলো বাধবে বুকে বাসা। ভ্যাকসিক আসুক গ্রাম শহরে বাঁচুক গরিব চাষা। নতুন করে বাঁচার লড়াই তোমায় আমায় মিলে। যাক ছিপ নিয়ে যাক কোলা ব্যাঙে মাছ নিয়ে যাক চিলে। ওই আশায় বাঁচে চাষার দলে সবাই গেছি মিশে আজ রাত পোহালেই আসছে ২১ বুঝবে দুচোখ মিশে। ঠিক রাত পোহালেই আসছে একুশ বুজবে দুচোখ মিশে।
বিশের স্মৃতি উশকে ২১ কে স্বাগত জানান রুদ্রনীল। জানিয়েছেন সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
নতুন বছরের আগে বিশের বাস্তব কে আবারো মনে করিয়ে দিলেন তিনি তার কবিতার মধ্যে দিয়ে। সোশ্যাল মিডিযায় পোস্ট হতেই মুহূর্তের মধ্যে হয়েছে ভাইরাল। কনেন্ট বক্স ভোরে গেছে তার কবিতার প্রাসঙ্গিকতাকে নিয়ে।।